শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আওয়ামী লীগে হাল ধরার একমাত্র বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ কোথায় ছিল, আর এখন কোথায় আছে? একবার ভেবে দেখলে অবশ্যই অকপটে স্বীকার করতে হবে, একমাত্র শেখ হাসিনার কারণেই সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়াবার শক্তি সঞ্চয় ও হিম্মত প্রতিষ্ঠা।
বুধবার (১৭ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবস্থ বঙ্গবন্ধু হলে শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক সিটি মেযর আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, যারা বাংলাদেশ চায়নি এবং এখনো চায় না, তারা বাংলাদেশকে ধাক্কা দিয়ে পিছনের দিকে ঠেলে দিতে চায়।
তারা আবারও দেশকে পাকিস্তান বানানোর স্বপ্ন দেখছে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এরা শুধু মিথ্যাচারই নয়, নানাভাবে ও নানা কৌশলে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী শক্তি কখনো পরাজয় মানে না। আমাদের শক্তির উৎস জনগণ।
জনগণ যখন আওয়ামী লীগকে রায় দিয়েছে তখন আওয়ামী লীগ জনগণের সাথে বেঈমানি করেনি এবং তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে।
তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী শাসনামলে যে উন্নয়ন ও সফলতা অর্জিত হয়েছে তা নজিরবিহীন। আজ সারা বিশ্ব বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার বিস্মিত। একটি দরিদ্র দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। ভিক্ষুকের হাত কর্মীর হাতে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে নতুনভাবে চিনিয়েছে। আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের প্রসংশায় পঞ্চমুখ। তারাও জোর দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের স্বার্থে ও জনগণের সার্বিক কল্যাণে শেখ হাসিনার কোনও বিকল্প নেই।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, এই দিনে ১৯৮১ সালে বিদেশে ৬ বছর নির্বাসন শেষে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছেন বলেই আজ বাংলাদেশ রাহুমুক্ত হতে পেরেছে। মা-বাবা, ভাই, আত্মীয়-স্বজন ছাড়া শেখ হাসিনা বেদনা বিষাদ ভুলে শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশ ও জাতির হাল ধরেছিলেন। তিনি আজ শুধু একটি দেশের কর্ণধার নয়, বিশ্বের একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক।
তিনি আরও বলেন, এখনো নানাভাবে ষড়যন্ত্র চলছে। অবৈধ পথে ক্ষমতা দখলের জন্য নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত চক্রের আন্দোলন সংগ্রামে জনগণের স্বার্থ অধিকার রক্ষার কথা নেই। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে যেকোনভাবে ক্ষমতায় গিয়ে এই দেশকে লুটেরাদের রাজ্যে পরিণত করা। এটা কিছুতেই হতে পারে না এবং হতে দেব না।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, এম জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শেখ মো. ইছহাক, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসের এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর।
সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সদ্য প্রয়াত অমল মিত্র’র প্রয়াণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।