বুধবার - ২৫শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১১ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৯শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ভূমিকা – শীর্ষক জেলা কর্মশালা-২০২৫

মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ভূমিকা – শীর্ষক জেলা কর্মশালা-২০২৫

 

গোপালগঞ্জে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ভূমিকা” জেলা কর্মশালা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৪ই মে) সকাল ১০ টায় গোপালগঞ্জ পৌর মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন, গোপালগঞ্জ এবং মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৬ষ্ঠ পর্যায়, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
গোপালগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.গোলাম কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মুহম্মদ কামরুজ্জামান (যুগ্ম সচিব), জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, গোপালগঞ্জ।
বিশেষ অতিথির স্থানে উপস্থিত ছিলেন মো. মিজানুর রহমান,গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার, বিশ্বজিত কুমার পাল (উপসচিব), উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার, গোপালগঞ্জ, অমিত দেব নাথ, নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ, গোপালগঞ্জ, জনাব মিল্টন বৈদ্য, সম্মানিত ট্রাস্টি, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম” ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন একটি প্রকল্প। বর্তমানে প্রকল্পটির ৬ষ্ঠ পর্যায় চলমান। প্রাক-প্রাথমিক, ধর্মীয় শিক্ষা (শিশু) এবং ধর্মীয় শিক্ষা (বয়স্ক) কেন্দ্রের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা প্রকল্পের প্রধান কাজ। এছাড়া নিরক্ষরতা দূরীকরণে, বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী ১০০% শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তিতে এবং শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ করতে প্রকল্পটি কাজ করছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন, মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি, ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং নারীর ক্ষমতায়নে প্রকল্পটি কার্যকর ভূমিকা রাখছে। ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম পর্যায়ের সফল বাস্তবায়নের পর “মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৬ষ্ঠ পর্যায়” শীর্ষক প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে শুরু হয়ে ডিসেম্বর ২০২৫ সালে শেষ হবে।
গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের অধীনে ২৩৩ টি শিক্ষাকেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫৭ টি প্রাক-প্রাথমিক, ৪৩-টি ধর্মীয় শিক্ষা (বয়স্ক) এবং ৩৩ টি ধর্মীয় শিক্ষা (শিশু) শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। প্রতি বছর প্রতিটি শিক্ষা স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্রে ৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। গোপালগঞ্জ জেলায় ২৩৩ টি শিক্ষাকেন্দ্রে ২৩৩ জন শিক্ষক রয়েছে যার মধ্যে ২০৭ জন নারী শিক্ষক।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn