
ভৈরব-আশুগঞ্জ ফেরিঘাট: মেঘনার বুকে হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির যাত্রী
ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | এক সময়ের বহুল ব্যবহৃত ভৈরব-আশুগঞ্জ ফেরি ছিল মেঘনা নদীর বুক চিরে চলা হাজারো যাত্রীর আশার বাহন। এই ফেরির মাধ্যমে দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে ছিল সরাসরি যোগাযোগ—যেখানে মানুষ, যানবাহন আর জীবনের গল্প একসাথে পাড়ি জমাতো নদীর বুকে।
সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিক হওয়ার আগে, এই ফেরিই ছিল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল। ব্যবসা, চিকিৎসা, শিক্ষা কিংবা পারিবারিক প্রয়োজনে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই রুটে যাতায়াত করতো।
যাত্রীদের অনেকেই স্মৃতিচারণ করেন ফেরির ওপরে দাঁড়িয়ে মেঘনার বুক জুড়ে বিস্তৃত জলরাশি দেখার অভিজ্ঞতা, কখনো রাতের ভ্রমণে ফেরির হেডলাইটে নদীর ঢেউয়ের খেলা, কিংবা হকারদের ডাকাডাকি—সবই যেন এখন কেবল স্মৃতি।
এখন আধুনিক সেতু, সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থার কারণে ফেরির গুরুত্ব কমে গেছে, কিন্তু তবুও মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে এই যন্ত্রচালিত জলযানটি।
ভ্রমণ করা অনেকেই বলছেন, “ফেরির এই ভ্রমণটা ছিল ধীর, অথচ স্নিগ্ধ এক অভিজ্ঞতা। এখানে ছিল সময় নিয়ে নদীকে দেখার সুযোগ, যা এখন আর পাওয়া যায় না।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এই ফেরিতে ভ্রমণের ছবি ও স্মৃতি শেয়ার করছেন। অনেকে আবার আহ্বান জানিয়েছেন, এমন ঐতিহাসিক রুট ও যানবাহনের স্মৃতি ধরে রাখতে স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোগ নেওয়ার।
আপনি কি এই ফেরিতে ভ্রমণ করেছেন? আপনার অভিজ্ঞতার গল্প শেয়ার করুন, যাতে নতুন প্রজন্ম জানতে পারে একসময় কীভাবে আমরা নদী পার হতাম—কেবল ফেরির অপেক্ষায়, নদীর টানে।