
- মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা ইসএ সফলভাবে চাঁদে অবতরণের জন্য ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়েছে। চন্দ্রযান-৩ যখন ভারতের মহাকাশ ট্র্যাকিং স্টেশনের নজরদারির বাইরে ছিল তখন উভয় সংস্থাই ইসরোর বিজ্ঞানীদের যানটি ট্র্যাক করতে সহায়তা করেছে।
উভয় সংস্থার প্রধানরা এই সফলতার জন্য সামাজিক মাধ্যম এক্সে (আগে ছিল টুইটার) অভিনন্দন জানিয়েছেন।
নাসার প্রধান বিল নেসলন লিখেছেন, চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করায় ইসরোকে অভিনন্দন। সেইসঙ্গে চাঁদে অবতরণকারী চতুর্থ দেশ হওয়ার গৌরব অর্জন করায় ভারতকে অভিনন্দন। আমরা এই মিশনে আপনার অংশীদার হতে পেরে আনন্দিত!
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (ইএসএ) মহাপরিচালক জোসেফ অ্যাশবাচারও অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে এই অভিযানের অংশ হতে পেরে তিনি ইসরোকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, অবিশ্বাস্য! নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শন এবং মহাকাশে ভারতের প্রথম সফট ল্যান্ডিং করার গৌরব অর্জন করায় ইসরো, চন্দ্রযান-৩ এবং ভারতবাসীকে অভিনন্দন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের এই চন্দ্রাভিযানে মোট খরচ হয়েছে ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অপরদিকে রোববার চাঁদে বিধ্বস্ত হওয়া রাশিয়ার চন্দ্রযান লুনা-২৫ এর খরচ ছিল ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তুলনা করলে প্রমাণ হয় ভারত রাশিয়ার থেকে অর্ধেকেরও কম খরচে একটি সফল ল্যান্ডিং উপহার দিয়েছে বিশ্বকে।
ভারতীয় মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের পূর্ববর্তী চাঁদ ও মঙ্গল মিশনগুলোও অল্প খরচে পরিচালিত হয়েছিল। এর সম্পূর্ণ কৃতীত্ব ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর। ‘পণ্যের অপচয়’ সংস্থাটি বিশেষ প্রচেষ্টার দিকে সবসময় নজর দিয়েছে।
ইসরোর সিনিয়র বিজ্ঞানীরা বিবিসি তামিলকে বলেছেন, ভারতের উৎক্ষেপণ খরচ এখনও কম হতে পারে কারণ দেশটি দক্ষিণ রাজ্য তামিলনাড়ুর কুলাসেকারাপট্টিনমে একটি নতুন মহাকাশবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। নির্মাণ সম্পন্ন করতে পারলে মহাকাশযান উৎক্ষেপণের জন্য এটি হবে আদর্শ স্থান এবং পাশাপাশি পরিবহন খরচ অনেক কমে যাবে।
Post Views: ১৪৭