
ভাংগা থানার চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার মূল রহস্য উদঘাটনসহ ০৭ জন আসামী গ্রেফতার
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় মোঃ নজরুল ইসলাম(৪৪) গত ইং-৫ নভেম্বর-২৪ তারিখে ভাংগা থানায় হাজির হইয়া অভিযোগ করেন যে, তিনি একজন গরুর ব্যবসায়ী। আমার নামীয় একটি ডেইরি ফার্ম থেকে ইং-০১ নভেম্বর-২৪ তারিখ রাতে তিনি যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানাধীন চারাভিটা এলাকায় সেলিম এর বাড়ী হতে বাচ্চাসহ একটি গাভী এবং ০৯ মাসে গর্ভবতী অপর দুটি গাভী গরু কিনে তার ব্যক্তি মালিকানাধীন অশোক লিলেন্ড পিকআপে যোগে করে বাদী ও তার গাড়ীর চালক মিন্টু মাতুব্বর(৩৬)সহ বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হন। ইং-০১ নভেম্বর-২৪তারিখ রাত অনুমান ১১,৫০ মিনিটের সময় বাদী ভাংগা থানাধীন হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর টেকনিক্যাল কলেজের সামনে ফরিদপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাকা রাস্তায় পৌছালে অজ্ঞাতনামা ১৩/১৪ জন ডাকাত একটি সাদা রংয়ের মাহিন্দ্রা পিক-আপ যোগে ভাংগার দিক হতে বাদীর ব্যবহৃত রেডমি নোট-১৩ এন্ড্রোয়েড মোবাইল ফোন, নগদ ৩,০০০/-টাকা, বাদীর মোটর সাইকেলের স্মার্টকার্ড, কয়েকটি ব্যাংকের চেক বহির পাতা, এনআইডি এর মূল কার্ড এবং চালকের নিকট থাকা নগদ ১,৭০০/-টাকা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেডমি ১০ এন্ড্রোয়েড মোবাইল ফোন এবং পিকআপ গাড়ীসহ ০৩টি গরু জোর পূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে নিয়ে যায়। ভাংগা থানার মামলা নং-০৫, তারিখ ০৫/১১/২০২৪ খ্রি:, ধারা: ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড রুজু করা হয়। এসআই মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম এর উপর মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়।এই ঘটনায় ফরিদপুর জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মো: আব্দুল জলিল, পিপিএম-সেবা মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় ভাংগা থানার একটি চৌকসদল তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা ও গুপ্তচর নিয়োগ, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করিয়া আসামী সনাক্ত করে আসামীদের গ্রেফতারসহ গরু, মাছ ও লুন্ঠিত পিকআপ উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ইং-২০/১২/২০২৪খ্রিঃ রাত ১১.৩০ মিনিটের সময় কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন নজরগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতি ঘটনার সহিত জড়িত থাকা আসামী ১। মোঃ পারভেজ মুন্সি(২৭) ও ২। মোঃ আরাফাত হোসেন(২৬)কে গ্রেফতার করেন। আসামীদের কাছে থাকা একটি পিকআপ উদ্ধার করেন চৌকস পুলিশগনেরা। উক্ত ডাকাতির ঘটনার আসামীরা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে আসামীদের কোর্টে প্রেরণ করা হলে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।আসামীদের দেওয়া তথ্য যাচাই বাচাই করে পুনরায় অভিযান শুরু করে ইং-২২/১২/২০২৪ তারিখ রাত ২.৩০ মিনিটের সময় ভাংগাধীন দক্ষিণপাড় নামক বাসষ্ট্যান্ড হতে ১। সোহেল কাজী(২৩), ২।জুয়েল কাজী(২২), ৩।মিন্টূ শেখ(৫৫), ৪। মো: সাগর(২৫) দেরকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধারকৃত গাড়ীর ড্রাইভার মিন্টু এর একটি রেডমি-১০ মোবাইল আসামী মোঃ সাগর(২৫) এর কাছে পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে মো: সাগর(২৫), এর জবানবন্দি কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং অপর ০৩ (তিন) জনকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে উদ্ধারকৃত মালামালের সংক্ষিপ্ত বর্ননাঃ- ১। একটি হলুদ রংয়ের অশোক লিলেন্ড পিকআপ রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-ন-১৯-৪১৯৮, ২। নীল রংয়ের একটি টাটা এসিই ব্র্যান্ডের এক্সটু পিক-আপ গাড়ী যাহার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-ন-১২-৩৪৬৯, ৩। সাদা রংয়ের একটি পিকআপ যাহার রেজিঃ নং-বরিশাল যে মেট্রো-ন-১১-০৫২১, ৪। সাদা রংয়ের একটি পিকআপ যাহার রেজিঃ নং-খুলনা মেট্রো-ন-১১-২০৪৬ পিকআপ উদ্ধার এবং গরু ডাকাতি করে বিক্রয়ের নগদ ১০,০০০/- (দশ হাজার টাকা) একটি অ্যান্ডোয়েট মোবাইল ফোন এবং ডাকাতদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও সরঞ্জামাদী যথাক্রমে একটি স্টীলের সাদা চাকু লম্বা অনুমান এক ফুট, একটি প্লাষ্টিকের বাট যুক্ত চাপাতি, বাটসহ লম্বা অনুমান এক ফুট, একটি কাঠের হাতলযুক্ত হাতুড়ী, বাটসহ লম্বা অনুমান এক ফুট, একটি কাঠের হাতরযুক্ত ছোরা, হাতলসহ লম্বা অনুমান দুই ফুট, দুইটি রামদা কাঠের বাটযুক্ত,বাটের লম্বা অনুমান ৩.৫ ফুট ইঞ্চি উদ্ধারকরা হয়।