
বৃষ্টি ধসে বিধ্বস্ত উত্তর- পূর্ব ভারত, ২ দিনে মৃত্যু অন্তত ৩০ জনের
প্রবল বর্ষণে বিধ্বস্ত উত্তর – পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অংশ। আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরামের মতো রাজ্যগুলিতে গত ২দিনে শুধু বৃষ্টির কারণেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধসে ভেসে গিয়েছে আসাম এবং মেঘালয়ের সংযোগকারী ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ। এর ফলে তুরা থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। শনিবার (৩১ মে) আচমকা ধসের কবলে পড়েছিল অরুণাচল প্রদেশের রাস্তা। তাতে চলন্ত গাড়ি ভেসে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২ পরিবারের ৭ জনের। উত্তর সিকিমের পরিস্থিতি ও ভয়াবহ। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আসামের কিছু অংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই নিয়ে সর্তক স্থানীয় প্রশাসন। আসামের ১২টি জেলায় অন্তত ৬০ হাজার মানুষ বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছন। বর্ষার শুরুতেই এমন দুর্যোগ চিন্তা বাড়িয়েছে। উত্তর – পূর্বের বিভিন্ন অংশে শুধু শনিবার (৩১মে) ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। অরুণাচল প্রদেশে শনিবার (৩১ মে) ঘেমভাঙা বৃষ্টিতে মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭জন একটি গাড়িতে ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, পূর্ব কামেঙের রাস্তা দিয়ে গাড়িটি যাচ্ছিল। বৃষ্টিতে আচমকা রাস্তাটি ধসে যায়। জলের তোড়ে ভেসে যায় ওই গাড়ি। পাশে গভীর খাদে গিয়ে পড়ে। অরুণাচলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মামা নাটুং এই ঘটনায় সামাজিকমাধ্যমে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। এছাড়াও অরুণাচলের জিলোতে ক্যাবেজ গার্ডেন এলাকা এবং নিকটবর্তী পাইন গ্রোভে ধসে নেমেছিল শনিবার (৩১ মে) তাতে আরও ২জনের মৃত্যু হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে উত্তর – পূর্বের নদীগুলি ও জলস্তর বাড়ছে। ব্রক্ষপুত্রের জলস্তর অনেকটা বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয় প্রশাসনের। অনেকে বলছেন, বৃষ্টি চলতে থাকলে শীঘ্রই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করবে ব্রক্ষপুত্র। শনিবার (৩১ মে) গুয়াহাটিতে ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত ৬৭ বছরের নজির ভেঙে দিয়েছে একদিনের বৃষ্টি। শনিবার (৩১ মে) রাতে সিকিমে ও মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। দুর্যোগের কারণে উত্তর সিকিমে পর্যটকদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। বিপজ্জনকভাবে বেড়ে গিয়েছে তিস্তার জল।