
বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরল বোরো জমিতে, স্বস্তিতে কৃষক
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বৃষ্টিপাতের কারনে প্রায় বিশ হাজার ৪০০ হেক্টর বোরোধানের জমিতে নতুন করে প্রাণ ফিরেছে। চলতি মাসে প্রচন্ড খড়া ও পানির অভাবে এসব জমির ধান মরে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছিল। হঠাৎ বৃষ্টির ফলে বোরো চাষিদের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস দেখা যাচ্ছে।
বোরো চাষিরা জানান, এই সপ্তাহে বৃষ্টি না হলে আমাদের ফসল একেবারে নষ্ট হয়ে যেত। যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে আপাতত সপ্তাহ খানেক ফসল মরার আর চিন্তা নেই। তবে অতি ভারী বৃষ্টি হলে যেসব গাছে ধানের শীষ বের হওয়ায় ভালো হতো। কিছু দিনের মধ্যে সকল গাছে শীষ চলে আসবে বলে তারা জানান।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বিশ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও বেশ কিছু এলাকায় তীব্র খরার কারণে পানির সংকট ছিল। বৃষ্টি না হলে এসব এলাকার ধান গাছ পানির অভাবে মরে যেত। যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, এর ফলে আপাতত ধান মরা থেকে রক্ষা পাবে। আরও দুই-একদিন বৃষ্টি হলে বোরোধানের পানির সংকট অনেকটা দূর হবে।
সরেজমিনে উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির পানি জমিতে আটকানোর জন্য খেতের চারদিকের ফাঁকা রাস্তা বন্ধ করছেন অনেক কৃষক। তবে সবকিছুর পরে বৃষ্টির পানি পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।
কলকলিয়া ইউনিয়নের কৃষক বকুল আহমদ ও কাওছার মিয়া বলেন, আমি সাত একর জমিতে এবার বোরো ধান চাষ করেছি। এর মাঝে কিছু জায়গায় ধানের শীষ বের হওয়ার পথে অতিরিক্ত খরায় কিছুটা নষ্ট হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার কারণে ধানের অনেক উপকার হয়েছে।
তারা আরও বলেন, পানির অভাবে আমার কিছু জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি যে-টুকু জায়গা আছে, বৃষ্টি না হলে এগুলোও নষ্ট হয়ে যেত। বৃষ্টি হওয়ার কারণে ধানের অনেক উপকার হয়েছে, আরও কিছু বৃষ্টি হলে ধানের জন্য ভালো হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমদ বলেন, হঠাৎ বৃষ্টিতে বোরো ধানের মহা উপকার হয়েছে। বোরো ফসলের পাশাপাশি সবজির জন্যও বৃষ্টি খুবই উপকারী। এ বছর জগন্নাথপুর উপজেলায় ২০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়েছে।