বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জায়গা রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে দখল করতে চায় ভূমিদস্যুরা : প্রশাসনের নীরবতার অভিযোগ
চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি-ঘর দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একদল ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে। গতকাল ৫ জানুয়ারি সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন গুরুতর অভিযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম শাহ আলম। তার দাবি, ভূমিদস্যু চক্রের অত্যাচারে চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ব পাহাড়তলীর মুক্তিযোদ্ধা কলোনির লোকজনের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ১৯৯৫ সালে গড়ে ওঠা এ কলোনি দখল করতে সেখানকার বাসিন্দারের স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর করছে সংঘবদ্ধ একটি ভূমিদস্যু গ্রুপ। এছাড়াও তারা একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটাচ্ছে দখল করে নিতে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা ও প্রগতি বহুমুখী সমবায় সমিতির প্রধান উপদেষ্টা এম এ তাহের। এতে আরও ৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা এম তাহের বলেন, যুদ্ধাহত গরিব অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা সরকারি খাসজমি বরাদ্দপ্রাপ্ত হয়ে ১৯৯৫ সাল থেকে পূর্ব পাহাড়তলীতে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি সেই জায়গাটি জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এলাকার ভূমিদস্যু খ্যাত মোহাম্মদ মুন্না, মোহাম্মদ তজবীর হাসান চৌধুরী, সেতারা পারভীন ও মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানসহ একদল দুর্বৃত্ত। তারা একটি রাজনৈতিক দলেরও নাম ব্যবহার করছে।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, গত নভেম্বরের পর থেকেই প্রায় সময় ২০ থেকে ২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী চক্র কলোনিতে ঘুমান্ত লোকজনের ওপর হামলা, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করছে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হুমকি দেয় তারা। ইতোমধ্যে বেশ কিছু জায়গা জবরদখলও করে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। বিষয়গুলো নিয়ে খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। মূলত পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় সন্ত্রাসী চক্রটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে তাদের দাবি। তারা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ করেন। পুলিশ নিষ্ক্রিয় হাওয়ায় তারা শংকিত বলে জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ তাহের বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। সেই দেশে আজ সন্ত্রাসীরা আমাদের হুমকি দিচ্ছে।
এদের অত্যাচারে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাদের রক্ষার জন্য আমি সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউছুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দোহা আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সামশুল হুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেয়াকত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল বারী প্রমুখ।