
বীরভূমে ঘর থেকে উদ্ধার আদিবাসী পরিবারের ৩ সদস্যের মৃতদেহ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে সাতসকালে ঘর থেকে উদ্ধার আদিবাসী পরিবারের ৩ সদস্যের মৃতদেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল মহম্মদবাজারে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মৃতদের মাথায় মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। ফলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে খুন করা হয়েছে ৩ জনকে। কিন্তু কেন ? নেপথ্যে কে বা কারা ? এহেন একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। জানা যায়, বীরভূমের মহম্মদবাজার ও মল্লারপুর থানার সীমানায় রয়েছে ম্যানেজার পাড়া। সেখানে থাকতেন লক্ষী মাড্ডি (২৫)। ২ সন্তান রুপালি (১০) ও অভিজিৎ (৮) কে নিয়ে থাকতেন তিনি। তাঁর স্বামী লালটু কর্মসূত্রে দুর্গাপুরে থাকতেন। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি ) সকালে প্রতিবেশীরা ভয়ংকর দৃশ্য দেখেন। দেখা যায়, ঘরে খাটিয়ার উপর পড়ে রয়েছে লক্ষী ও রুপালির কম্বল জড়ানো দেহ। খাটিয়ার নিচে পড়েছিল অভিজিতের দেহ। ৩ জনের মাথাতেই মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীরা খবর দেয় থানায়। ঘটনাস্থলে গিয়েই ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিশ আধিকারিকরা। স্থানীয়দের দাবি, ৩ জনকে খুনই করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। না হলে দেহ উদ্ধার করতে দেওয়া হবে না। রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশ সুপার আমনদীপ স্থানীয়দের বলেন, আগে দেহ উদ্ধার হোক। তারপরই তদন্ত শুরু হবে। অভিযুক্তদের শীঘ্রই ধরা হবে। কিন্তু তা মানতে নারাজ স্থানীয়রা। কিন্তু ঠিক কিভাবে মৃত্যু ? কেন এই ঘটনা ? নেপথ্যে কে ? প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে ৩ জনকেই। কিন্তু কেন, তা এখনও ধোঁয়াশা। ইতিমধ্যেই মৃতের স্বামীকে ও খবর দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বেই রহস্যভেদ হবে বলে আশাবাদী পুলিশ।