সোমবার - ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৭শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

বীরগঞ্জে জমি সংক্রান্তের জেরে ২ ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

বীরগঞ্জে জমি সংক্রান্তের জেরে ২ ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

 

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ক্রয়কৃত জমাজমি নিয়ে বিরোধ কেন্দ্র করে হয়রানি মূলক মামলা ও বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেওয়ায় আপন ২ ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১২ মে) দুপুর ১২ টায় উপজেলা রোডস্থ বীরগঞ্জ মডেল প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বীরগঞ্জের মেসার্স সততা বাণিজ্যলয়ের প্রোপাইটর মধু সুদন চন্দ্র দাস (কেতু) সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে।

তিনি বলেন, ২০০১ সালের জানুয়ারী মাসের ২৯ তারিখে আমার পিতা মৃত্যুবরণ করেন। বাবার মৃত্যুর কয়েকদিন পর আমার বাবার সকল সম্পত্তি বাড়ির মিল, চাতাল, বাড়িঘর সাদা কাগজে বাটোয়ারা করা হয়। আমার বাবার মৃত্যুর আগে সোনালী ব্যাংকে ছয় লক্ষ পয়ষট্টি হাজার টাকা সিসি লোন ছিল, সকল ভাই ও বোনের নির্দেশে সম্পূর্ণ টাকা একাই পরিশোধ করি। বাবার সম্পত্তি ৭ ভাইয়ের কাছে বন্টন করে দেয়া হয়, ভাগের বিবরণ দ্বিতীয় তলা ৩ ভাগ করে অরুণ বাবু ১ ভাগ, বরুণ বাবু ১ ভাগ ও বিপ্লব ১ ভাগ। বাড়ির মিল চাতাল ২ ভাগ করে আমি মধু সুদন দাস (কেতু) ১ ভাগ ও কুশ চন্দ্র দাস কে ১ভাগ দেওয়া হয়।

ভবানিপুর মিল চাতাল ১ ভাগ জ্যোতিশ চন্দ্র দাস কে দেওয়া হয়। ঝারবাড়ি এলাকার ২২শতাংশ, বীরগঞ্জ শহরের গদিঘর ৭০০ফিট ও চাকাই এলাকার সাড়ে ৪ শতাংশ জমি বিষু চন্দ্র দাসকে দেওয়া হয়। আমার নিজ নামীয় জগদল হাটের মধ্যে ১০৭ শতাংশ জমি ও রেন্টু সাহার তেল পাম্পের নিকট ১০ শতাংশ জমি দিয়ে বিনিময়ে বরুণ বাবুর দ্বিতীয় তলা ভবনে ১ ভাগ ক্রয় করি। আমার বড়ভাই অরুন বাবুর ভাগের দ্বিতীয় তলার ১ ভাগ নগদ ৫লক্ষ টাকা বিনিময়ে ক্রয় করি। ক্রয় সূত্রে ২০০১ সাল থেকে বাড়ির দ্বিতীয় তলা অরুন ও বরুন দাদার ২ভাগ ভোগ দখল করে আসতেছি।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু ২০২২ সালে ৩টি মিথ্যা মামলা করে, যার একটি ফৌজদারি মামলার রায় আমি পেয়েছি। নিজ জমিতে প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে, আমার ভাই অরুন দাদা ও বিপ্লব ২ জনের যোগসাজসে ভাঙ্গার চেষ্টা করে। তৎক্ষনাৎ লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমাকে বিভিন্ন নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে এবং সরাসরি বিভিন্ন হুমকি প্রদান করছে। নির্মাণকৃত প্রাচীটি তারা যে কোন মুহর্তে ভেঙ্গে দেওয়ার পায়তারা করছে। আমি সহ আমার পরিবারকে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দিবে বলে প্রকাশ্যে জানিয়েছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই প্রশাসনের কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচারের জন্য সহযোগিতা কামনা করছি।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগীর ভাই কুশ চন্দ্র দাস, পিয়ারুল ইসলাম, মোঃ আল আমিন, রিজু আহম্মেদ ও পরিবার সদস্যবৃন্দ সহ মডেল প্রেসক্লাবের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।

অভিযুক্ত অরুণ চন্দ্র দাস বলেন, আমার সাড়ে ৪ শতাংশ তার কাছে বিক্রি করে দিয়েছি, এটি অস্বীকার করছি না। কিন্তু ছোট ভাই বিপ্লবের জমির ভাগটি আছে। তাছাড়া সব কিছু মিথ্যা ও বানোয়াট ভিত্তিহীন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn