
৫ জুন ২০২৩ইং সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন-বাপসা উত্তর দক্ষিণ মহানগর শাখার যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সিআরবিতে বিভিন্ন ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিকাল ৪:৩০ মিনিটের সময় প্লাস্টিক ও পলিথিনমুক্ত বাংলাদেশ চাই- শীর্ষক মানববন্ধন ও সমাবেশ বাপসা’র কেন্দ্রীয় সভাপতি এম এ হাশেম রাজুর সভাপতিত্বে মহানগর বাপসা’র যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সিআরবি আন্দোলনের পুরোধা, পরিবেশবাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম এ গফুর।
বক্তব্য রাখেন, সিআরবি আন্দোলনের সংগঠক মহিলা নেত্রী পরিবেশবাদী হাসিনা আক্তার টুনু, পবিবেশবাদী আকরাম হোসেন, সাবের আহমেদ, মোর্শেদ আলম, নেছার আহমেদ খান, বাপসা’র কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল শুক্কুর সায়েম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার বাপসা’র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জহির উদ্দিন, সমন্বয়ক মো. ওসমান গনি, মহানগর সম্পাদক মারুফ সরকার, উত্তর জেলার বাপসা’র সদস্য লায়ন এ কে এম আবু ইউসুফ, মহানগর অফিস সহকারী আবুল কাশেম বাহাদুর, অফিস সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সিআরবি আন্দোলনের পুরোধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুর রহমান বলেন, যদি প্লাস্টিক-পলিথিনমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবন ব্যবস্থা করতে না পারি তাহলে কর্ণফুলী নদী, হালদা নদী, চাক্তাই খালসহ দেশের সকল নদী-নালা, জলাশয় অচিরেই ভরাট হয়ে যাবে। বিশ্ব জলবায়ু পরিবেশ আজ ধ্বংসের মুখোমুখি। এভাবে চলতে থাকলে বিশ্ব পরিবেশ দূষণের কবলে নিপতিত হবে। প্রধান বক্তা বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিষয়ক ফোরামের কনভেনর ও উদ্ভিদ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম এ গফুর বলেন, ১৯৭৪ সালে এই বিশেষ দিনটি প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছে সামুদ্রিক দূষণ মানব জনসংখ্যা গ্লোবাল ওয়ার্মিং বন্যপ্রাণের পরিবেশগত বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি স্বার্থে। বিশ্ব পরিবেশ দিবস জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য একটি বিশ্বজনীন প্ল্যাটফর্ম যেখানে প্রতিবছর ১৪০টির বেশি দেশ অংশ নেয়। পরিবেশের সুরক্ষায় একটি থিম এবং ফোরাম সরবরাহ করা হয়। বায়ু দূষণের কারণে মায়ের গর্ভে থাকা শিশুটিও ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। দূষণমুক্ত জলবায়ু পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আমাদের সকলকে বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। ইট-ভাটা, পাহাড়ের মাটি, বনাঞ্চল উজাড়, নদী থেকে বালু উত্তোলন ইত্যাদি বন্ধ করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে এম এ হাশেম রাজু বলেন, বাপসা’র পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষায় এই বছরে বৃহত্তর চট্টগ্রামে ৫ লক্ষ চারা রোপন করা হবে বলে ঘোষণা দেন।