মঙ্গলবার - ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্ব ঐতিহ্যের ষাটগম্বুজ মসজিদে দর্শনার্থীদের ঢল

বিশ্ব ঐতিহ্যের ষাটগম্বুজ মসজিদে দর্শনার্থীদের ঢল

 

ইউনেস্কো কতৃক স্বীকৃত বাগেরহাটের বিশ্ব ঐতিহ্য ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড ষাটগম্বুজ মসজিদে টানা ৯দিনের ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটকদের ভিড় বেড়েই চলেছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে আসছেন হাজার হাজার পর্যটক, এদের মধ্যে বিদেশি পর্যটকও রয়েছেন। দীর্ঘ এক মাস রোজার কারণে পর্যটকরা এখানে আসতে পারিনি। তাই ঈদের ছুটিতে পর্যটকরা পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসছেন। ষাটগম্বুজ মসজিদ ঘুরে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কেউ এসেছেন বন্ধু-বান্ধবের সাথে, কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে, কেউ বা একা এসেছেন। প্রায় সাড়ে ৬‘শ বছর আগে খাজা খান জাহান আলী (রহঃ) এর নির্মিত মসজিদ চত্বরে থাকা যাদুঘর, বিভিন্ন রাইডস, প্রশস্ত সড়ক, মসজিদ ক্যাম্পাসে আলোকসজ্জা,নানা জাতের ফুল এবং মসজিদের পশ্চিম পাশের বিশালাকৃতির ঘোড়াদিঘি দেখে মুগ্ধ সবাই। তবে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায়, তাদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষকে।

এদিকে দর্শনার্থীদের জানমালের নিরাপত্তা দিতে টুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।

নাজিরপুর থেকে ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখতে আসা পর্যটক জানান, ঈদের টানা ছুটি কাটাতে বন্ধুদের নিয়ে বাগেরহাটের ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখতে এসেছি। ষাটগম্বুজ মসজিদের প্রাচীন এ নিদর্শন দেখতে পেরে আমাদের ভালো লাগছে। আমি এই প্রথম এসেছি। অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল ষাটগুম্বুজ মসজিদ দেখতে আসার। এতদিন সময় হয়ে ওঠেনি। আজ আসতে পেরে খুব ভালো লেগেছে।

ঢাকা থেকে আসা এক দর্শনার্থী জানান, বাগেরহাটে আমার শ্বশুরবাড়ি। আমি আমার পরিবারের সকলকে নিয়ে ষাটগম্বুজ মসজিদে ঘুরতে এসেছি। শহরের কোলাহল থেকে মুক্ত পরিবেশ এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি অন্যতম বিশ্ব ঐতিহ্য। সবকিছু মিলিয়ে পরিবার নিয়ে খুব ভালো লাগছে।

প্রত্নতত্ত্ব ও যাদুঘর বিভাগের ষাটগম্বুজ মসজিদের কাষ্টুডিয়ার মোঃ জায়েদ জানান, একটানা ৯দিনের ঈদের সরকারি ছুটিতে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড ষাটগম্বুজ মসজিদে পর্যটকদের ভিড় বেড়েই চলেছে। ঈদের দিন থেকেই এই ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইডে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। পর্যটকদের ঢল সামাল দিতে আমরাসহ ট্যুরিষ্ট পুলিশ যথাযথ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

বাগেরহাটে ষাটগম্বুজ মসজিদ ছাড়াও রনজিৎপুরের চন্দ্রমহল ইকোপার্ক, বারাকপুরের সুন্দরবন রিসোর্ট, পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের করমজল বন্যপ্রণী প্রজনন ও ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র, হিরণ পয়েন্ট, আলীবান্ধা, হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, জামতলা সিবিচ, টাইগার পয়েন্ট, দুবলা, বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড, ত্রিকোণ আইল্যান্ড, কলাগাছি ও দোবেকি পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। তবে, শরণখোলা উপজেলার বলেশ^র নদীর পাড়ে রিভারভিউ ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে পর্যটকদের ঢল নামতে শুরু হয়েছে। প্রতিদিন বিকেলে বঙ্গোপসাগর মোহনায় সূর্যাস্ত দেখতে এই কেন্দ্রটিতে ভীড় করছেন হাজার হাজার পর্যটক।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn