মঙ্গলবার - ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২২শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

বিরলে পানি নিষ্কাশনের জায়গা রাতের আঁধারে মাটি দিয়ে ভরাটের অভিযোগ 

বিরলে পানি নিষ্কাশনের জায়গা রাতের আঁধারে মাটি দিয়ে ভরাটের অভিযোগ

 

বিরল উপজেলার ১০ নং রানীপুকুর ইউনিয়নের
বোর্ডহাট স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র হতে বোর্ডহাট মহাবিদ্যালয়ের রাস্তার মধ্যে দক্ষিন পাশে ক্যানেলটির সামনের পানি নিষ্কাশনের পথ রাতের আঁধারে মাটি ভরাটের মাধ্যমে বন্ধ করে নিচ্ছে এক প্রভাবশালী।

এতে বর্ষা মৌসুমে বোর্ডহাট বাজারের আশপাশের বিশাল এলাকা জলাবদ্ধতার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। এমনকি পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি রাস্তা সংলগ্ন বোর্ডহাট বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ, ধর্মপুর উচ্চ বিদ্যালয়, রানীপুকুর ইউনিয়ন ভুমি অফিস ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সহ পাশের দুটি গ্রামও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে । এ নিয়ে ইতিমধ্যে এলাকাবাসীর পক্ষে রানীপুকুর গ্রামের মো: রফিক নেওয়াজ (রাজিব) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এর কাছে। অভিযোগে জানা যায়, রানীপুকুর ইউনিয়নের বোর্ডহাট বাজার সংলগ্ন এলাকার একটি সরকারী ক্যানেল যার অবস্থান বোর্ডহাটের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র হতে বোর্ডহাট মহাবিদ্যালয় রাস্তার দক্ষিন পাশে। উপজেলার  জগতপুর মৌজার ১৯৪ নং জে. এল ভূক্ত ৩৯৪ নং খতিয়ানের ২৭১ নং দাগের ক্যানেলটি দীর্ঘদিন ধরে বোর্ডহাট বাজারের পানি নিষ্কাশন এর জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি নুরুল ইসলাম নামে জগতপুর গ্রামের এক লোক সেই ক্যানেল অবৈধ ভাবে মাটি ফেলে ভরাট করছে। যার ফলে পানির স্বাভাবিক চলাচলে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা তৈরি এবং রাস্তা ভাঙ্গনের সম্ভবনা রয়েছে। যা পরিবেশ ও রাস্তার জন্য মারাত্বক হুমকি।
বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে সরকারী ক্যানেলটি রক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। এদিকে ভূক্তভোগিরা ইতিমধ্যে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত নুরল ইসলামকে পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ না করার জন্য মৌখিক ভাবে বলেছেন বলে জানিয়েছেন ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে সড়কের দক্ষিণ পাশের পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হলে বোর্ডহাট বাজারের ভ্রাম্যমাণ ও স্থায়ী দোকানঘর সহ কয়েকটি সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির স্বীকার হবে এবং আশপাশের বিশাল জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন সেবা ব্যাহতের পাশাপাশি চরম ভোগান্তির স্বীকার হবেন।বোর্ডহাট বাজারের একজন হোটেল মালিক বলেন বিষয়টা খুবই দুঃখজনক। এলাকার জনগোষ্ঠী ও সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কথা চিন্তা না করে গায়ের জোরে এভাবে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ব্যাপারে আমরা প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অন্যথায় এলাকাবাসীসহ প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক ক্ষতির শিকার হতে হবে বর্ষা মৌসুমে। এ বিষয়ে বিরল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ইশতিয়াক আহমেদ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই ইউনিয়নের সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তাকে সরেজমিন পরিদর্শন করার নির্দেশনা দেই। তিনি তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামবাসী ও অপর পক্ষের সাথে কথা বলে আমাকে বিষয়টি অবগত করেন। আমি উভয় পক্ষ ডেকে কথা বলেছি অভিযুক্ত নুরল ইসলাম মৌখিক দাবি জানিয়েছেন জায়গাটি তার ব্যক্তিগত কিন্তু কোন প্রমাণাদি আমাকে দেননি। আমি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে উভয়পক্ষ কে ডেকে সুষ্ঠ সমাধানের জন্য বলেছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত একই ইউনিয়ের জগতপুর (মাহাজনপাড়া) গ্রামের মৃত আজির মোহাম্মদ এর পুত্র নুরল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি আমার নিজের মালিকানাধীন জায়গায় মাটি দিয়ে ভরাট করেছি। আমার জমির সকল কাগজ আমার কাছে আছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn