শনিবার - ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২২শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

বিরলে কড়াই-বিলের ৫০ লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে সাবাড় করার অভিযোগ বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে

বিরলে কড়াই-বিলের ৫০ লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে সাবাড় করার অভিযোগ বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে

 

কড়াইবিল দিনাজপুরের বিরলে মুক্তিযোদ্ধা হাঁস-মুরগি ও পশুপালন খামার সমবায় সমিতির একটি প্রকল্প। এই বিলের তিন শতাধিক আমগাছ সহ মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে বিরল মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহ সভাপতি ও দিনাজপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মকসেদ আলী মঙ্গলিয়া ও মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব জবাইদুর রহমান এর বিরুদ্ধে।

বিরলের দর্শনীয় স্থান (কড়াইবিল) সারি সারি গাছ আর অতিথি পাখির গুঞ্জনে মনের খোঁড়াক মেটাতো দর্শনার্থীদের। অসাধু চক্রের খপ্পরে পড়ে আজ এই সৌন্দর্যের নীলা ভূমি মরুভূমিতে পরিনত হয়েছে,
মুকুলে ভরা তিন শতাধিক আম গাছ, ও মূল্যবান কড়াই ও কাঠাল গাছ ১০ দিন ধরে বিএনপি নেতার নির্দেশে চলছে নিধন কার্যক্রম গত ১০ মার্চ (সোমবার) স্থানীয় লোকজন গাছকাটা শ্রমিকদের কাছে কার অনুমতিতে গাছ কাটছে বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বিএনপি নেতা মঙ্গলিয়ার নির্দেশে গাছ কাটছে বলে জানান, পড়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছাত্র প্রতিনিধির একজন বিরল উপজেলা বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করলে বেড়িয়ে আসে থলের বেড়াল, বন কর্মকর্তা জানান এবিষয়ে অবগত নয় তিনি, গাছের টেন্ডার বা গাছ কাটার বিষয়ে কিছুই জানেনা, বন বিভাগ বা উপজেলা প্রশাসন।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবেশবাদীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভ ও উত্তেজনা। বিরলের গৌরবময় দৃষ্টিনন্দন কড়াই বিলের সৌন্দর্য বিনষ্টকারী অবৈধ ভাবে গাছ কর্তনের সাথে জ্বরিত সকলকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী উপজেলার সচেতন মহলের।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভার:) ইশতিয়াক আহমেদ জানান অভিযোগ পেয়ে বন বিভাগের সহযোগিতায় কাটা গাছ জব্দ করা হয়েছে। এবং এসব গাছ কাটার বা বিক্রির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোনো দপ্তর থেকে অনুমতি নেয়া হয়নি। ঘটনাটির তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা মকসেদ আলী মঙ্গলিয়া জানান,
৫ই আগষ্টের পরে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্ব দেয়া হয় । দায়িত্ব পাওয়ার পর সংগঠনের সভায় কড়াইবিলের উন্নয়ন কাজ ও বিলের চার পাশে নতুন করে বৃক্ষরোপণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই গাছ কাটা এবং বিক্রি করা হয়েছে।

গাছ কর্তনকারি জেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব জবাইদুর রহমান জানান, আমি মকছেদ আলী মঙ্গলীয়া ভাইয়ের কথায় গাছগুলো কিনে নিয়েছি সাড়ে ৪ লাখ টাকায় । তবে গাছ গুলো কাটার ক্ষেত্রে নিয়ম-কানুন মানা হয়নি তা আমার জানা ছিলোনা। নিয়ম কানুন না মেনে কাছগুলো কাটা অবশ্যই অপরাধ হয়েছে। তবে এতে আমার কোন দোষ নেই আমি ভিতরের বিষয়ে কিছুই জানিনা।

কড়াইবিল সমবায় সমিতির সভাপতি (কমান্ডার) আবুল কাশেম অরু ও সাধারণ সম্পাদক (ডেপুটি কমান্ডার) রহমান আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

কড়াই বিলটি ১৯৭৫ সাল থেকে বিরল উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের অধীনে রয়েছে। এটি বিরল মুক্তিযোদ্ধা হাঁস-মুরগি ও পশুপালন খামার সমবায় সমিতির একটি প্রকল্প। বর্তমানে সমিতির সদস্য সংখ্যা ১৫০ জন ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn