
বিয়ের পরও স্বীকৃতি মেলেনি ! স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে ধর্না মহিলার
ফোনের মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর গোপনে বিয়ে করেছিল এক মহিলা। কিন্তু বিয়ের ৪ বছর পর স্বামী মেনে না নেওয়ায় স্ত্রী মর্যাদার দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে ধর্নায় বসলো ওই মহিলা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুরাতন মালদা পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়া এলাকায়। গত ২দিন ধরে ওই এলাকায় গোপাল পাল নামে এক যুবকের বাড়ির সামনেই ধর্নায় দিয়েছিল গৃহবধূ ঝুম্পা গোস্বামী। শনিবার (১১ জানুয়ারি ) বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হতেই ঘটনাস্থলে আসেন পুরাতন মালদা থানার পুলিশ। অবশেষে পুলিশি হস্তক্ষেপে ওই মহিলাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেই বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ঝুম্পা গোস্বামী (২৭) এর বাড়ি ইংরেজবাজার থানার মিল্কি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, ওই মহিলার প্রথম পক্ষের স্বামীর বাড়ি ছিল পুখুরিয়া থানার সিমলা গ্রামে। দীর্ঘদিন আগে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের বিচ্ছেদ হয় ওই মহিলার। তার নাবালক ২ ছেলেমেয়ে রয়েছে। এরপরই পুরাতন মালদার পালপাড়া এলাকার যুবক গোপাল পালের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। পুলিশকে অভিযোগে ওই মহিলা ঝুম্পা গোস্বামী জানিয়েছেন, ৪ বছর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এরপর গোপাল পাল একাধিকবার তার সঙ্গে সহবাস করে এবং গোপনে বিয়ে করে। ইংরেজবাজার থানা এলাকায় বিভিন্ন সময় বাসাভাড়া নিয়ে তাঁকে রেখেছিল। গত ২ মাস ধরে গোপাল পাল তার সঙ্গে কোনরকম যোগাযোগ করছিল না। এরপরই সে তার শ্বশুরবাড়িতে উঠতে চায়। কিন্তু বাড়ির লোকজন তাকে ঢুকতে দেয়নি। তাই ২ দিন ধরে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে তিনি শ্বশুরবাড়ির সামনেই ধরনায় বসেছিলেন। এদিকে ওই যুবকের বাবা নরোত্তম পাল বলেন, আমার ছেলে কি করেছে জানি না। তবে একজন বিবাহ বিচ্ছেদ মহিলাকে পুত্রবধূ হিসেবে মানতে পারব না। ওই মহিলা ২দিন ধরে আমার বাড়ির সামনে বসেছিল। এরপরই পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ ওকে নিয়ে গিয়েছে। আইনগত কি ব্যবস্থা নিবে সেটা আমার জানা নেই। কিন্তু ওই মহিলাকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেওয়া যাবে না। পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় মমো বিক্রেতা গোপাল পাল নামের যুবকের বিরুদ্ধে ঝুম্পা গোস্বামী নামে এক মহিলা অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Post Views: ৬৩