শনিবার - ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

বিভিন্ন দাবী নিয়ে জয়েন্ট মুভমেন্ট ফোরামের ডাকে মিছিল ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন

বিভিন্ন দাবী নিয়ে জয়েন্ট মুভমেন্ট ফোরামের ডাকে মিছিল ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন

 

আজ ২২শে মে বৃহস্পতিবার, ঠিক দুপুর ১টায়, কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে, জয়েন্ট মুভমেন্ট ফোরাম এর ডাকে, বিভিন্ন সংগঠন উপস্থিত হন এবং সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে জমায়েতন। বেশ কয়েকটি দাবী নিয়ে, বেলা দুটো নাগাদ সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু হয় রানী রাসমনি রোড পর্যন্ত, মিছিল শেষে সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে ডেপুটেশন দিতে যান,

এই মিছিলে উপস্থিত হন, বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, এস টি ই এ, ডক্টরস ফোরাম, নার্সিং ইউনিট সহ অন্যান্য সংগঠনগুলি।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি দিলীপ মাইতি ও সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডা সহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। বেশ কয়েকটি দাবী নিয়ে তাদের এই আন্দোলন এবং মুখ্যমন্ত্রীকে ডেপুটেশন। বেশ কয়েকশো শিক্ষাকর্মী থেকে শুরু করে ডাক্তার নার্স এবং অন্যান্যরা এই মিছিলে পা মেলান।

তাহাদের দাবী….. অবিলম্বে ২০১৬ প্যানেলের যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের চাকুরীর নিরাপত্তা দিতে হবে।

২০১৭ প্যানেলের প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকুরীর নিরাপত্তা চাই।।

সমস্ত শূন্য পদে স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ করতে হবে।

অস্থায়ী কর্মীদের যোগ্যতা অনুযায়ী স্থায়ী নিয়োগ করতে হবে।

এ আই সি পি আই অনুযায়ী বকেয়া ডি এ প্রদান করতে হবে।

সপ্তম রাজ্য পে কমিশন চালু করতে হবে।
এই সকল দাবী নিয়ে তারা একটি ডেপুটেশন দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর নিকট, সাথে সাথে এটুকুও জানালেন, দাবী পূরণ না হলে আন্দোলন তীব্র থেকে আরও তীব্রতর হয়ে উঠবে, দেখতে চাই শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের উপরে যেভাবে পুলিশ প্রশাসন অত্যাচার করেছে, গায়ে হাত তুলেছে। মাথা ফাটিয়েছে, আরো কত হাত তুলতে পারে অত্যাচার করতে পারে, তবুও আন্দোলন থামবে না।‌ ন্যায্য দাবি আদায় করে নেবো।

আজ ন্যায় বিচার না পেয়ে হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষা কর্মী চাকুরী হারিয়ে রাস্তায় বসে, কয়েক হাজার শিক্ষক শিক্ষা কর্মী চাকরি যাওয়ার ভয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন, অথচ জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলছে অযোগ্যদের চাকরিতে বহাল করার ফন্দি। শিক্ষক শিক্ষা কর্মীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে চলছে পুলিশি জুলুম ও লাঠি চার্জ, আর দু একটা চাকরির পরীক্ষা হলেও সেগুলি আদালতের দোরগোড়ায় পৌঁছাচ্ছে, নতুন নিয়োগ হচ্ছে না, নতুন নিয়োগ না হওয়ার অজুহাত। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে লক্ষ লক্ষ শূন্য পথ পড়ে রয়েছে, প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ছয়টি শ্রেণীতে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ার ফলে দু থেকে তিনজন শিক্ষক কোনভাবে চালাচ্ছেন। তবুও শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। স্কুল বিল্ডিং নাই, আদালতের রায় কর্মচারীদের পক্ষে গেলেও তা বাস্তবায়িত হতে দীর্ঘদিন সময় লাগছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি একে একে আন্দোলনের পথে নেমেছেন তবুও সরকার কোন রকম কর্ণপাত করেননি। শিক্ষকদের চাকরি যাওয়ার ফলে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন এবং তাহাদের পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছেন। অথচ লক্ষ্য লক্ষ্য টাকায় সরকারি চাকরি বিক্রি হয়েছে, সমস্ত সরকারি ডিপার্টমেন্টে দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে আমরা এর প্রতিকার চাই, অবিলম্বে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা সহিত নীতি বহাল করুন।

আমাদের সংগঠন , সরকারি আধা সরকারি , স্থায়ী অস্থায়ী, শিক্ষক শিক্ষাকর্মী, ডাক্তার নার্স , বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও পেনশনার সংগঠন গুলি নিয়ে পথে নেমেছে। ঠিক বিচারের আশায় ও ন্যায্য পাওনার দাবীতে, আমাদের সংগঠন সবাইকে নিয়ে তৈরি হয়েছে। একটি শক্তিশালী যৌথ মঞ্চ। ন্যায় বিচার এবং যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরী দাবি নিয়ে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn