রবিবার - ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৯শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

বিভিন্ন জটিলতায় ১৭ দিন ধরে তামাবিল স্তলবন্দরে ব্যবসায়ীদের পাথর আমদানি বন্ধ

বিভিন্ন জটিলতায় ১৭ দিন ধরে তামাবিল স্তলবন্দরে ব্যবসায়ীদের পাথর আমদানি বন্ধ

 

তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ১৭ দিন ধরে কয়লা- পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। পাথরবাহী ট্রাকে কাদামাটি ও আবর্জনাসহ ওয়েট স্কেলে ওজন জটিলতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্ব ব্যবসায়ীরা আমদানি বন্ধ রেখেছেন। ব্যস্ততম এ স্থলবন্দরে পাথর, কয়লা আমদানি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থবিরতা নেমে এসেছে।বিশেষ করে এ কয়দিনে আমদানি বন্ধ থাকায় সরকার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

ব্যবসায়িদের অভিযোগ, পাথরবাহী ট্রাকে কাঁদামাটি ময়লা ও আবর্জনা থাকলেও ওয়েট স্কেলে কড়াকড়ি ওজন নিয়ন্ত্রণের কারণে কয়লা- পাথর আমদানি থেকে বিরত রয়েছেন তারা।এ অবস্থায় কয়লা পাথর আমদানি অব্যাহত রাখলে পাথরবাহী প্রতি ট্রাকে নুন্যতম ১০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হবে।বিষয়টি নিয়ে কাস্টম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বললেও কোন সুরাহ পাচ্ছেন না আমদানি কারকরা।ওই কারণে বাধ্য হয়ে আমদানি বন্ধ রেখেছেন তারা।

জানা গেছে,সরকারের রাজস্ব আয়ে অন্যতম সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল স্থলবন্দর। কিন্তু গত ১৭ দিন ধরে ওই স্থলবন্দরে নেই কোন ব্যস্ততা।ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও আমদানি বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানালেও কোন পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের ।এতদিন সুরাহার জন্য কাস্টম কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপে যায়নি।কিন্ত ওয়েট স্কেল নিয়ে কড়াকড়ি জটিলতার সমাধান করেন নি।এরকম বিদ্যমান পরিস্থিতিতে স্থানীয় কয়েক শতাধিক বিনিয়োগকারী আমদানি বন্ধ রাখায় প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এই পরিস্থিতির অবসানে আমদানিকারকরা বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও কোন লাভ হয়নি।

মেসার্স রেজা এন্টারপ্রাইজ সত্যাধিকারী ইলিয়াস উদ্দিন লিপু জানান, ওজন জটিলতায় আমরা পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছি।লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে পাথর আমদানি করে যেখানে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। ওপারে পাথর কয়লাবাহী শতশত ট্রাক লাইনে দাঁড়িয়ে আছে, রপ্তানিকারকরা আমাদের কাছে এসব পণ্য বাহী ট্রাকের (ক্ষতিপূরণ) দাবী করছে।

তামাবিল স্থলবন্দর পাথর আমদানি গ্রুপের আহবায়ক, হেনরি লামিন জানান, তামাবিল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে পাথর আমদানিতে কোন বাঁধা নেই। ভারত থেকে পাথরবাহী ট্রাকটি যান্ত্রিকভাবে লোড হওয়াতে কাঁদামাটি ও ময়লা আবর্জনা নিয়ে আসে। কাঁদামাটি ও ময়লা আবর্জনার ওয়েট স্কেলে দামটাও পেমেন্ট দিতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।আগে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ কাদামাটি ও ময়লা আবর্জনার ওজনের বিষয়ে কিছুটা ছাড় দিলেও বর্তমানে কর্তৃপক্ষ ওজনে এক কেজিও ছার দিতে রাজি না।এতে করে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। লোকসানের জন্যই ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকেই গত ১৭ দিন ধরে কয়লা- পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন।

তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।মিথানল,চাল, মিডিয়াম পেপার আমদানি হচ্ছে। সল্প কিছু সংখ্যক মাঝে মাঝে রপ্তানি ও হচ্ছে।তবে স্থলবন্দরের প্রধান প্রডাক্ট কয়লা- পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে বন্ধ নেই। শুনেছি কাদামাটি ময়লা আবর্জনাসহ ওয়েট স্কেলে নিয়েও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কয়লা- পাথর আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা আমদানি বন্ধ করেছেন। আমরা তাদের সমস্যার বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn