শনিবার - ২১শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৫শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

বাগেরহাটের রামপালে চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজার সংবাদ সম্মেলন জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ

বাগেরহাটের রামপালে চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজার সংবাদ সম্মেলন জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ

 

বাগেরহাটের রামপালে জোরপূর্বক জমি দখল ও মারপিটের ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আপন চাচার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভাতিজা আ. হালিম শেখ। মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২ টায় প্রেসক্লাব রামপালে শেখ সদর উদ্দিনের ছেলে ভুক্তভোগী হালিম শেখ এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উজড়কুড় ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি। আমার পিতা শেখ সদর উদ্দিনের ক্রয়কৃত জমি দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণভাবে আমরা ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু ওই জমি জবরদখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আমারই আপন চাচা শেখ ইশার উদ্দিন। এ নিয়ে স্থানীয় ও থানা পুলিশ করেও রেহাই পাচ্ছেন না বলে দাবী করেন। তিনি আরও দাবি করেন, মানিক নগরের ৫৩ নং মৌজার এসএ ৫১ নং খতিয়ানের ৮৫০ দাগের ৬২ শতাংশ জমি কবলা সূত্রে মালিক হন। এছাড়াও স্থানীয় লিয়াকত হাজি, জালাল উদ্দিন ও বদর উদ্দিনের কাছ থেকে যথাক্রমে ১১৩৫ দাগের ২০ শতক, ১১৩৬ দাগের ১০ ও ২৬ শতকসহ মোট ৫৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। উল্লেখিত জমির মধ্যে ১৫ শতক জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে আসছেন চাচা ইশার উদ্দিন। এছাড়াও রনসেন মৌজায় আমার চাচা ইশার উদ্দিনসহ শরীকদের নামে ভুলবশত ৮১শতক জমি রেকর্ড হয়। এরমধ্যে ৪৪ শতক জমি বেদখল করার হুমকি দিচ্ছে।
জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ৯ জুন সোমবার সকালে প্রতিপক্ষ চাচা ইশার উদ্দিন, তার ছেলে, জামাই, নাতনীসহ প্রায় ৩০ জন মিলে আমাদের ভোগদখলীয় বাস্তুভিটার মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে দখল নেওয়ার চেষ্টা চালায়। আমরা বাঁধা দিলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও হুমকি ধামকি দেয়। পরবর্তীতে রামপাল থানায় প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। থানা পুলিশ বিষয়টি সুরাহা করতে ঘটনাস্থলে গেলে উপস্থিত এসআই মাসুদুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্সের সামনে আমার বৃদ্ধ পিতা, মাতা ও ছোটভাইসহ পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষরা। তাৎক্ষণিক তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আমার মাতা মোসাম্মদ জোহরার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে খুলনা হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বর্তমানে আমিসহ আমার পরিবার মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপসহ প্রতিকার দাবী করছি। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় তার সাথে ছিলেন তৌহিদুল ইসলাম।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ইশার উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে রামপাল থানার দারগা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, প্রতিপক্ষদের ডাকা হয়েছে। তাদের উভয়ের সাথে বসে মিমাংশা করে দেয়া হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn