রবিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বাগেরহাটের রামপালে ইয়াতিমখানার ভবন নির্মাণে বাঁধা, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

বাগেরহাটের রামপালে ইয়াতিমখানার ভবন নির্মাণে বাঁধা, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

 

বাগেরহাটের রামপালের প্রসাদনগর আফাজউদ্দিন ইয়াতিমখানার জায়গার দখল উচ্ছেদের চেষ্টা করা হলে দখলদারেরা ভবন নির্মাণে বাঁধা প্রদানসহ বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর প্রতিবাদে প্রেসক্লাব রামপালে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টায় ইয়াতিমখানার সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম মোল্লা এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় ওই ইয়াতিমখানা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের প্রসাদনগর গ্রামে ১৯৯১ সালে আফাজউদ্দিন ২৫ শতাংশ জমি দান করে আফাজউদ্দিন ইয়াতিমখানা নির্মাণ করেন। এরপরে ১৯৯৬ সালে সমাজসেবা দপ্তরের নিবন্ধন প্রাপ্ত হয়। ওই সময় রামপাল সরকারি কলেজের তৎকালিন অধ্যক্ষ আ. গণি ইয়াতিমখানাটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন ধরে। বিভিন্ন সময় ওই মাদরাসায় স্থানীয় আবু সাইদ হাজরা ও কোহিনুর হাজরা ৩০ শতাংশ, ফুলজান বিবি ২ শতাংশ ও গৌরম্ভার এ্যাডভোকেট রফিউদ্দিন দান করেন ৮৯ শতাংশ জমি। এতে ইয়াতিমখানার জমির পরিমাণ দাড়ায় ১ একর ৯৬ শতাংশ। কিছু জমি ইয়াতিমখানার দখলে থাকলেও অধিকাংশ জমি দখল নেয় স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এ নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম মোল্লা জমি উদ্ধারের চেষ্টা চালালে দখলকারীদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বর্তমানে মাদরাসার নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হলে গত ইং ১২-০৪-২০২৫ তারিখ শনিবার সকাল ১০ টায় ওই দখলদারদের পক্ষ নিয়ে মিলন শেখ, ইনসার আলী, রহিম শেখ, আজিজুল শেখ, আলী ইজারদার, দ্বীন মোহাম্মদ, বাশার শেখ, হান্নান শেখ সোহাগ শেখ, রাজু শেখ, মান্নান শেখ, আবুল কাইয়ুমসহ ১০/১২ জন কাজে বাঁধা দেন। এ ছাড়াও ৮৯ শতাংশ জমি স্থানীয় প্রভাবশালী মেজবাহ উদ্দিন মুক্ত নামের এক ব্যাক্তি দখলে রেখেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা দাবী করেন, মূলত বেহাত হওয়া জমির দখল ফিরে পেতে ইয়াতিমখানা কমিটি দেন দরবার শুরু করলে সৃষ্টি হয় বিরোধ। এমতাবস্থায় কমিটির নেতৃবৃন্দ রামপাল থানায়, সেনাবাহিনীর ক্যাম্পসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে অসত্য, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন রটনা ছড়াচ্ছে। এমনকি তারা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তাদের দাবী কাগজপত্রে ইয়াতিমখানার জমি না থাকলে কোন জমির দাবী করা হবে না, তবে ইয়াতিমখানার অনুকূলে জমি থাকলে তা ফেরৎ দিতে হবে। তারা মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবী করেন।
এ বিষয়ে মেজবাহ উদ্দিন মুক্তর ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৮৯ শতাংশ জমির হারির টাকা মসজিদ কমিটির কাছে জমা রেখেছি। ইয়াতিমখানায় আমার মা ও আমি ডোনার। বর্তমান কমিটির অনিয়মের কারণে আমরা নতুন কমিটির দাবী করেছি। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শামীম ভাইয়ের মাধ্যমে ইয়াতিমখানার সমস্যার সমাধান চাই। ইয়াতিমখানায় নতুন কমিটি করে হিসাব বুঝিয়ে দিলে, আমরা নতুন কমিটির লোকদের দিয়ে ভবন নির্মাণ করাতে চাই।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn