রবিবার - ১৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২০শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

বাগমারায় টিউবওয়েল থেকে বের হচ্ছে গ্যাস পরিদর্শন করলেন ইউএনও

বাগমারায় টিউবওয়েল থেকে বের হচ্ছে গ্যাস পরিদর্শন করলেন ইউএনও

 

রাজশাহী বাগমারায় টিউবয়েলের মুখ দিয়ে বের হচ্ছে গ্যাস। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়। যারাই শুনেছেন তারা নিজ চোখে দেখতে ছুটে যাচ্ছেন সেখানে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের সোনাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সালামের বাড়িতে।
টিউবয়েলের মধ্যে থেকে গ্যাস বের হতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে আব্দুস সালামের পরিবারের লোকজন। ২০- ২৫ বছর আগে খাবার পানির ব্যবস্থায় বাড়িতে টিউবওয়েল বোরিং করে সালাম । হঠাৎ করেই তিন থেকে চার মাস আগে পানি ওঠা বন্ধ হয়ে যায় ঐ টিউবয়েলে।

পানির পরিবর্তে বের হতে থাকে মিথেন জাতীয় গ্যাস। পরে সেখানে ম্যাচের কাঠি মারলে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান সাবেক অধ্যক্ষ আজাহারুল হকের সাথে কথা বলেন আব্দুস সালাম। পরে সেখানে দেখতে যান চেয়ারম্যান আজাহারুল হক।

নিজে দেখার পরেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। এরপরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম। সোমবার বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে সোনাডাঙ্গা মৎস্য পাড়া আব্দুস সালামের বাড়ির সেই নলকূপের কাছে গেলে ঘটনার সত্যতা পান। পরে ম্যাচ লাইটের মাধ্যমে আগুন ধরিয়ে দিলে দেখা যায় আগুন জ্বলার দৃশ্য।

প্রতিদিনই কেউ না কেউ আসছে এই আগুন দেখতে। এই গ্যাসের কারণে চার মাস থেকে আর ওই টিউবয়েলে পানি উঠছে না। এখন অন্য জায়গা থেকে তারা খাবার পানির সংগ্রহ করছে। বাড়ির মালিক আব্দুস সালাম চট্টগ্রামে রিক্সা চালিয়ে সংসার পরিচালনা করেন। গ্যাস বের হওয়ার কথা শুনে তিনি বাড়িতে আসেন বলে জানিয়েছেন।

সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাবেক অধ্যক্ষ আজাহারুল হক বলেন, আমাদের এলাকায় এটিই প্রথম। এর আগে এরকম ঘটনা ঘটেনি। সে কারণে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি। পরে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

উপজেলা প্রকৌশলী খলিলুর রহমান বলেন, এত গভীরে কি আছে সেটি বলা যাচ্ছে না। যেহেতু মাটির নিচে অনেক কিছুই চাপা পড়ে থাকে সেগুলো পচেও এইভাবে গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, অনেক জায়গায় টিউবয়েলের মুখ দিয়ে এভাবে গ্যাস বের হতে দেখা গেছে। তবে কিছুদিন পরে আবার সেটি বন্ধ হয়ে যায়। যেহেতু টিউবয়েলের মুখ দিয়ে বের হওয়া গ্যাসে আগুন দিলেই দাউ দাউ করে জ্বলে উঠছে সেজন্য পরিবারের লোকজনদের সতর্ক করা হয়েছে। কেউ যেন এখানে আগুন ধরিয়ে না দেয়। যেহেতু প্রাকৃতিক মিথেন জাতীয় গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে সেক্ষেত্রে গ্যাস বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় দেখতে হবে এটি আসলেই গ্যাস কিনা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn