
বাংলাদেশ নিয়ে মোদি সরকারের উপর চাপ বাড়াল আরএসএস
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিতে মোদি সরকারের উপর চাপ বাড়াল আরএসএস। কেন্দ্রকে সংঘের বার্তা, বাংলাদেশে মন্দির পুড়ছে, মহিলা নির্যাতিত। লাগাতার এই ঘটনার পর শুধু নিন্দা ও ব্যবস্থা নেওয়ারো বার্তা যথেষ্ট নয়। সোজা আঙলে ঘি না উঠলে, অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ইউনুস সরকারের আমলে বাংলাদেশের মাটিতে যে লাগাতার হিন্দু নির্যাতন চলছে সে কথা ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এদিকে ঢাকা সফরে বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়ে দিয়েছেন, হাসিনাকে আশ্রয় দিলে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী দিল্লি। মূলত ২ দেশের টলমল কূটনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক করতেই আলোচনা হয় ২ দেশের। সেখানে অবশ্য সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা রুখতে পদক্ষেপের আর্জি ও জানানো হয় বাংলাদেশ সরকারের কাছে। তবে শুধু মাত্র কথায় চিড়ে ভিজবে বলে মনে করছে না আরএসএস। কারণ বাংলাদেশের মাটিতে শুধু যে মৌলবাদীদের দাপট বেড়েছে তা নয়, সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলির ভারত বিরোধীতা মাত্রাছাড়া আকার নিয়েছে। যেখানে কথায় কাজ হচ্ছে না, সেখানে অন্য পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মোদি সরকারের উপর চাপ বাড়াল আরএসএস। সংঘ মনে করছে, হিন্দু নির্যাতনের বিষয়টিকে যতটা গুরুত্ব দেওয়া উচিত, তা দেওয়া হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে আরএসএস এর মুখপাত্র সুনীল আম্বেকর বলেন, ” কেন্দ্রের উচিত বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া। সমস্যা সমাধানে যদি কথায় কাজ না হয়। সেক্ষেত্রে অন্য রাস্তায় সমাধান খোঁজা হোক।” বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার সঙ্গে মুঘল আমলের তুলনা টেনে আম্বেকর বলেন, আমাদের মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, লুট, মহিলাদের নির্যাতন করা হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে প্রতিটি হিন্দুর মনে রাগ আসা স্বাভাবিক। এরপর শুধু নিন্দা করা পর্যাপ্ত নয়। এর বাইরে বেরিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে ” তিনি আরও দাবি করেন, ” যা চলছে তার উদ্দেশ্য বাংলাদেশের মাটি হিন্দু শূণ্য করা। শুধু বাংলাদেশ নয় পাকিস্তানে ও হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছে। আমরা এই ধরনের ঘটনা সহ্য করব না। এই ইস্যুতে মোদি সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ হিন্দু নিগ্রহের প্রতিবাদে বুধবার (১১ ডিসেম্বর ) দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্দেশে পদযাত্রায় অংশ নেয় আরএসএস বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বিজেপির মদতপুষ্ট দিল্লির প্রায় ২ শত টি নাগরিক সংগঠন। তবে দিল্লি পুলিশ হাইকমিশনের অনেক আগেই বিক্ষোভকারীদের থামিয়ে দেয়। পরে বিক্ষোভকারীরা চাণক্যপুরি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেও, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। দিল্লির তিন মূর্তি চক থেকে প্রতিবাদ মিছিলের শুরু হয়। এতে অংশ নেয় দিল্লির গেরুয়া শিবির ঘনিষ্ঠ একাধিক বাজার সমিতি, ছাত্র সংগঠন, দুর্গা পুজো কমিটি, ছটপুজো, রামলীলা কমিটি সহ প্রায় ২০০টি নাগরিক সংগঠন। পদযাত্রায় ছিলেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ, স্বাধী ঋতম্ভরারা। উপস্থিত ছিলেন ইসকনের প্রতিনিধিরা ও।
Post Views: ৮৭