মঙ্গলবার - ১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১৫ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শহীদ জিয়ার স্মৃতিফলকে পুষ্পমাল্য অর্পণ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিফলক ষোলশহর ২ নং গেইটস্থ জাতীয় বিপ্লব উদ্যানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের উদ্যোগে ২ মে (মঙ্গলবার) সকাল ১১ টায় সময় পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে।

এ সময় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ এম নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক স.ম জামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, শহনেওয়াজ চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক গাজী আয়ুব আলী, মোহাম্মদ হারুন ডক, সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুর রহমান মজুমদার, প্রচার সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট মো: ইকবাল হোসেন, যুব বিষয়ক সম্পাদক হাসিবুর রহমান বিপ্লব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বান্দরবান জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সদস্য আতিকুর রহমান, রবিউল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, মো: সিরাজ, নুরুল আলম সুজন, আবুল খায়ের, বন্দর আবদুর রউফ লিটন, নির্মাণ আবদুল মান্নান, মো; দেলোয়ার, পাহাড়তলী শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর, বায়েজিদ থানার আবদুল মান্নান, হোটেল ছাইদুল হক ছাদু, মনির হোসেন, রফিক উদ্দিন জসিম, আবদুল লতিফ, প্রমুখসহ বিভিন্ন থানা ও বেসিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

এ সময় সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৯ সালে এইদিনে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের উন্নয়ন ও উৎপাদনে সক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উৎপাদনের সুব্যবস্থার সুশৃংখলার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশের শ্রম আইনের বিভিন্ন অবকাঠামোগত শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধার্থে আইন প্রণয়ন করেন। করকারখানা উৎপাদনে এক শিপ্টের পরিবর্তে ৩ শিপ্ট চালু করেন জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের গঠনতন্ত্রে ১৯ দফা কর্মসূচির সাথে শ্রমিকদের কয়েকটি দাবী সংযুক্ত করে শ্রমিকদের অধিকার বাস্তবায়নের পথ সৃষ্টি করে দেন। এরপর এক এক সরকার এক একটি কালাকানুন করে শ্রমিকদের অধিকার খর্ব করেছে। আজকে বাংলাদেশে শ্রম আইন সংশোধনের নামে এক একটি বৈষম্য তৈরী করছে বর্তমান অবৈধ সরকার। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় খাতে শ্রম সেক্টরগুলো শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। প্রত্যেকটি রাষ্ট্রয়ত্ব প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেট সার্ভিস নামে একটি আইন করে ধোঁকাবাজী করে সারা জীবন যে শ্রমিক শ্রম দিয়ে কাজ করে যাবে তার শ্রম আইন অনুযায়ী তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে শ্রমিক আজ অনাহারে ও অর্ধহারে দিনাতিপাত করছে। অবিলম্বে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করা হউক। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় জাহাজভাঙ্গা শ্রমিকদের আজ থেকে চার বছর পূর্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে মজুরী কমিশন ঘোষিত হয়েছে। কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠান বা মালিক পক্ষ বাস্তবায়ন করেনি। অবিলম্বে বাস্তবায়ন করার জোর দাবী জানাচ্ছি।
সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার বলেন, ইতোমধ্যে অবৈধ অগণতান্ত্রিক বিনা ভোটের সরকার অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল শ্রমিকদের বিরুদ্ধে একটি কালো আইন ছাপিয়ে দিচ্ছে। যখন তখন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে এই আইন অপব্যবহার করা হবে। অবিলম্বে তা বাতিলের দাবী জানাচ্ছি। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে গার্মেন্টস সেক্টর প্রতিষ্ঠা করে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আর বিদেশে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য বহু পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকেরা বাংলাদেশে র‌্যামিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে। তেমনিভাবে রপ্তানীর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে। আজকে সেই অবস্থান থেকে সরে যাওয়ার জন্যে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের কিছু কুচকীমহল ষড়যন্ত্র করছে। এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের শপথ নিতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করে অপশক্তির বিরুদ্ধে জবাব দিতে হবে। মানুষের ভোটের অধিকার, বাকস্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার যে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম চলছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn