শনিবার - ২১শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৫শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে দ্বাদশতম বর্ষে পদার্পণ করলো সপ্তকন্যার শুভ বিবাহ 

বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে দ্বাদশতম বর্ষে পদার্পণ করলো সপ্তকন্যার শুভ বিবাহ

 

আজ ১২ই মে সোমবার, আগামীকাল ১১ই মে রবিবার ঠিক সন্ধে সাতটায়, জীবনের নব দিশা দেখাতে, সিঁথি ময়দানে , বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে, দ্বাদশ তম বর্ষে পদার্পণ করলো,সপ্তকন্যার শুভ বিবাহ অনুষ্ঠান। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সভাপতি অজয় ঘোষ ,সম্পাদক বাসব চন্দ্র ঘোষ

এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিধায়িকা সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, কামারহাটির পৌর প্রধান গোপাল সাহা, বরানগর পৌরসভার পৌর প্রধান দিলীপ নারায়ণ বসু, শ্রীযুক্ত অঞ্জন পাল, জয়ন্ত রায়, শ্রী রামকৃষ্ণ পাল , অমর পাল, শম্পা চন্দ্র, নিলু গুপ্তা , আলপনা রাহা, অজয় ঘোষ ও বিশিষ্ট সমাজসেবী গোরাচাঁদ রায় ও সংকর রাউত, সুব্রত সাহা এবং দেবাশীষ বাবুসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

এছাড়াও বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জীবনের দিশা দেখাতে , সপ্তম কন্যার বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজনে, সভাপতি অজয় ঘোষ, সম্পাদক বাচব চন্দ্র ঘোষ, সহ-সভাপতি বিদেশ ঘোষ, সুদীপ দে ,পিন্টু ভট্টাচার্য, যতীন্দ্র কুমার বিশ্বাস, মহিমা রঞ্জন সামন্ত, সুধাংশু মাইতি।

সুন্দর আলোক সজ্জা ও আমন্ত্রিতদের উপস্থিতিতে, সপ্ত কন্যাদের ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে, জীবনের নবদিশা দেখাতে এবং পূর্ণ সামাজিক প্রথা মেনে বিজ্ঞান সম্মতভাবে থ্যালাসেমিয়া অন্যান্য শারীরিক রোগ পরীক্ষার মাধ্যমে, সামর্থ্য হীন সাতটি পরিবারের সাতটি কন্যাকে বেছে নিয়ে এবং পরিবারদের অনুমতি নিয়ে, সমস্ত আইন মেনে এই শুভ বিবাহের অনুষ্ঠান। পুরোহিত ও ধর্ম গুরুদের দ্বারা মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে ক্রিয়া কর্ম করা হয়, ধর্ম বর্ণ জাতিভেদ ভুলে সকলকে এক করতেই এই উদ্যোগ, এবং সাতটি কন্যাকে সাতটি বরের হাতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলেন।

এমনকি সাজসজ্জা ও কোন কিছু উপকরণ দিতে বাকী রাখেন নি ,কোনে পক্ষকে ও বরপক্ষকে,,,,, শাঁখা সিঁদুর বেনারসী, ফুলের মালা, ঘড়ি, ধুতি ,পাঞ্জাবী, সুটকেস , রুপার মঙ্গলসূত্র, সেলাই মেশিন, টিকলি, মিনি গ্যাস, মশারি, আলমারি ,মাদুর, খাট, বিছানা, ছাতা, এবং মেয়ের অন্যান্য সামগ্রী।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে উদ্যোক্তা অজয় ঘোষ ও বাসব চন্দ্র ঘোষ বলেন, আমরা সামাজিক দায়বদ্ধ মেনে কিছু করার চেষ্টা করেছি, যাহাতে সাধারণ পরিবার উপকৃত হন যাহাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, যাহাদের কন্যাদের বিবাহ দিতে সামর্থ্য নাই। তাহাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি সবার সহযোগিতা নিয়ে, সবার সহযোগিতা ছাড়া কখনোই এইরকম অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয় না। সবাই পাশে থাকে বলেই এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হয়। সকলের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn