
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুয়া অভিযোগ তোলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি
দেশে একটি নির্বাচিত সরকার যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনকল্যাণের নীতি ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছিল তখন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে অগণতান্ত্রিকভাবে জোরপূর্বক হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার। ফলে উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় সামনের দিকে অগ্রসরমান বাংলাদেশ আজ মুখ থুবড়ে পড়ছে। সকল সেক্টরে ইতিবাচক ধারার চ্যুতি ঘটিয়ে একের পর এক নেতিবাচক সূচকের জানান দিচ্ছে। অবৈধ, অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকা এবং তাদের অদক্ষতা ও দুর্নীতির কারণে দেশের জনগণের যাপিত জীবন যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে জনগণকে স্বস্তি দিতে ব্যর্থ সরকার তাদের ব্যর্থতা আড়াল করতে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য, গুজব এবং অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ জনমানসে ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজের ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত কল্পিত অভিযোগ নিয়ে ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। পারলে সরকারকে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণসহ তা প্রমাণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। একইভাবে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধেও এফবিআই-এর ভুয়া সোর্স ও মৃত ব্যক্তির রেফারেন্স ব্যবহার করে মিথ্যা অভিযোগ তুলে কল্পকাহিনী ছড়ানো হচ্ছে। তিনিও এই অভিযোগ প্রমাণের জন্য সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।
আজ বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারসহ জনগণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিপন্ন। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বাংলাদেশের জনগণের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সকল অধিকার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে। অতীতের বিপন্নতার সময়েও নিজের জীবন বাজি রেখে বাংলার মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অকুতোভয় নির্ভীক সেনানীর মতো আপসহীনভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। আজকের অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী অগণতান্ত্রিক সরকার সুস্পষ্টভাবে জানে, বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আগামীর লড়াইটাও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হবে। সেজন্য অবৈধ ও অসাংবিধানিক এই সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করতে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কল্পিত মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া অভিযোগ উত্থাপন করা হচ্ছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা যে এ সকল অভিযোগে অভিযুক্ত নয়, তা ইতিমধ্যে বাংলার জনগণের কাছে স্পষ্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পূর্বাপর বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একই ধরনের কুৎসা রটিয়েছিল গণতন্ত্র ও জনগণের শত্রু খুনি-ঘাতক চক্র ও ষড়যন্ত্রকারীরা। পরবর্তীতে যেগুলো সম্পূর্ণভাবে অসত্য প্রমাণিত হয়েছিল এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তাঁর ব্যাংক হিসাবে মাত্র ১৪ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় আজকের অসাংবিধানিক-অগণতান্ত্রিক সরকার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রাম থেকে দেশের জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের কল্পকাহিনী রটাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক এই গোষ্ঠীর কোনো অশুভ তৎপরতাই সফল হবে না। সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন বাংলার জনগণ হৃত গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার করে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে অমানিশার ঘোর অন্ধকার ভেদ করে নতুন সূর্যালোকের ন্যায় উদ্ভাসিত হবে, ইনশাল্লাহ।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।