শনিবার - ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুয়া অভিযোগ তোলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুয়া অভিযোগ তোলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি

 

দেশে একটি নির্বাচিত সরকার যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনকল্যাণের নীতি ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছিল তখন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে অগণতান্ত্রিকভাবে জোরপূর্বক হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার। ফলে উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় সামনের দিকে অগ্রসরমান বাংলাদেশ আজ মুখ থুবড়ে পড়ছে। সকল সেক্টরে ইতিবাচক ধারার চ্যুতি ঘটিয়ে একের পর এক নেতিবাচক সূচকের জানান দিচ্ছে। অবৈধ, অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকা এবং তাদের অদক্ষতা ও দুর্নীতির কারণে দেশের জনগণের যাপিত জীবন যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে জনগণকে স্বস্তি দিতে ব্যর্থ সরকার তাদের ব্যর্থতা আড়াল করতে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য, গুজব এবং অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ জনমানসে ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজের ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত কল্পিত অভিযোগ নিয়ে ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। পারলে সরকারকে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণসহ তা প্রমাণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। একইভাবে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধেও এফবিআই-এর ভুয়া সোর্স ও মৃত ব্যক্তির রেফারেন্স ব্যবহার করে মিথ্যা অভিযোগ তুলে কল্পকাহিনী ছড়ানো হচ্ছে। তিনিও এই অভিযোগ প্রমাণের জন্য সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।

আজ বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারসহ জনগণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিপন্ন। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বাংলাদেশের জনগণের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সকল অধিকার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে। অতীতের বিপন্নতার সময়েও নিজের জীবন বাজি রেখে বাংলার মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অকুতোভয় নির্ভীক সেনানীর মতো আপসহীনভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। আজকের অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী অগণতান্ত্রিক সরকার সুস্পষ্টভাবে জানে, বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আগামীর লড়াইটাও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হবে। সেজন্য অবৈধ ও অসাংবিধানিক এই সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করতে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কল্পিত মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া অভিযোগ উত্থাপন করা হচ্ছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা যে এ সকল অভিযোগে অভিযুক্ত নয়, তা ইতিমধ্যে বাংলার জনগণের কাছে স্পষ্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পূর্বাপর বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একই ধরনের কুৎসা রটিয়েছিল গণতন্ত্র ও জনগণের শত্রু খুনি-ঘাতক চক্র ও ষড়যন্ত্রকারীরা। পরবর্তীতে যেগুলো সম্পূর্ণভাবে অসত্য প্রমাণিত হয়েছিল এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তাঁর ব্যাংক হিসাবে মাত্র ১৪ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় আজকের অসাংবিধানিক-অগণতান্ত্রিক সরকার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রাম থেকে দেশের জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের কল্পকাহিনী রটাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক এই গোষ্ঠীর কোনো অশুভ তৎপরতাই সফল হবে না। সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন বাংলার জনগণ হৃত গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার করে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে অমানিশার ঘোর অন্ধকার ভেদ করে নতুন সূর্যালোকের ন্যায় উদ্ভাসিত হবে, ইনশাল্লাহ।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn