
ফেনীর পরশুরামের সন্তানসহ মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর ঠাঁই হলো মিরপুর সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন সেই নারীর অবশেষে ঠাঁই হলো মিরপুর সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে।
এর আগে মঙ্গলবার ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাকে ভবঘুরে হিসেবে শনাক্ত করেছেন।বুধবার তাকে উদ্ধার করে পরশুরাম থানা পুলিশের উদ্যোগে মিরপুর সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।এর আগে বুধবার(০২ এপ্রিল)ফেনীর পরশুরাম পৌর এলাকার খোন্দকিয়া এলাকায় ওই নারী রাস্তায় প্রসব ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন।বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা সহ সংগঠনের সদস্যরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ওই নারী এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।তারপর থেকে সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালেই ছিলেন।কিন্তু হাসপাতালে নার্স ও চিকিৎসককে ফাঁকি দিয়ে ফের পৌর এলাকার খোন্দকিয়া এলাকায় গিয়ে রাস্তায় ঘুরাঘুরি করতে থাকেন।মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।মধ্যবয়সী এই প্রসূতি ও নবজাতক সুস্থ আছে।শুদ্ধ ভাষায় কথা বললেও এই নারী নিজের নাম-ঠিকানা কিছুই বলতে পারছেন না।শুধু জানিয়েছেন,তার নাম শামীমা,পিতার নাম আনোয়ার হোসেন,মাতার নাম আঞ্জুমান,স্বামীর কথা জানতে চাওয়া হলে জানান,স্বামী বাইরে আছেন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃমোশারফ হোসেন বলেন গত ২ এপ্রিল স্থানীয় লোকজন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কন্যা সন্তানের জন্মদেন।এরপর থেকে তিনি হাসপাতালেই ছিলেন গত কদিন আগেই সে আবারো খোন্দকিয়া গ্রামে চলে গেলে তাকে উদ্ধার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভবঘুরে হিসেবে সনাক্ত করে পুলিশ হেফাজতে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।নিয়ম অনুযায়ী অজ্ঞাত পরিচয়ের কোন ব্যক্তি অহেতুক রাস্তায় ঘুরাঘুরি করলে এবং কি রাত্রি যাপন জন্য কোন ঠিকানা বা আশ্রয়ন্থল না থাকলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যেতে পারবে।এরপর ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক তাকে ভবঘুরে হিসেবে শনাক্ত করতে হবে।তারপর উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তার সহযোগিতায় সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
পরশুরামের খোন্দকিয়া থেকে উদ্ধারকৃত মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর কোন পরিচয় এবং কি নাম ঠিকানা না পাওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী তাকে ভবঘুরে হিসেবে শনাক্ত করে মিরপুর সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।গত ২ এপ্রিল ফেনীর পরশুরাম হাসপাতালে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর থেকে স্থানীয় সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ওই নারীর পরিচয় জানতে চেয়ে ভিডিও ও ছবি পোস্ট করেছেন কিন্তু তারপরও তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।তারপর সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী তাকে ভবঘুরে হিসেবে শনাক্ত করে মিরপুর সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।