রবিবার - ১৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২০শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

ফিফা’র আমন্ত্রণে রেফারি তৈয়েব হাসান যাচ্ছেন বাগদাদ

ফিফা’র আমন্ত্রণে রেফারি তৈয়েব হাসান যাচ্ছেন বাগদাদ

আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা (ফিফা)-এর আমন্ত্রণে বাংলাদেশি সাবেক ফিফা এলিট রেফারি ও রেফারি ইনস্ট্রাক্টর তৈয়েব হাসান ইরাকের রাজধানী বাগদাদ যাচ্ছেন। সেখানে আগামী ৭ মে শুরু হতে যাচ্ছে ‘ফিফা রেফারি ইনস্ট্রাক্টরস সেমিনার’, যেখানে অংশ নিতে তিনি কাতার এয়ারওয়েজে বাগদাদ রওনা হবেন। সেমিনার শেষে ১২ মে দেশে ফেরার কথা রয়েছে তাঁর।
দীর্ঘ ১৮ বছর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা তৈয়েব হাসান দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ফিফা রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর পরিচালিত আন্তর্জাতিক ম্যাচের সংখ্যা শতাধিক। কেবল রেফারিং-এ নয়, তিনি বিভিন্ন রেকর্ডের অধিকারী হিসেবে ক্রীড়াঙ্গনে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত একমাত্র জীবিত রেফারি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম এবং একমাত্র ‘ইন্টারন্যাশনাল রেফারি অ্যাওয়ার্ড’ (এএফসি রেফারিজ মোমেন্তো অ্যাওয়ার্ড) প্রাপ্ত রেফারি হচ্ছেন তৈয়েব হাসান। তিনি এশিয়ার সেরা ২৫ রেফারির তালিকায় স্থান পাওয়ার পাশাপাশি ২০১৩ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচে প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেন—যা ছিল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম রেফারি হিসেবে ঐতিহাসিক অর্জন।
করোনা মহামারির সময় মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন এই ক্রীড়া সংগঠক। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ঐতিহাসিক ফাইনাল ম্যাচে ব্যবহৃত জার্সি নিলামে ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে তা করোনা আক্রান্ত মানুষের সাহায্যার্থে দান করেন। এ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হন তিনি। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠান।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার হিসেবে পাওয়া এক লাখ টাকাও তিনি ব্যয় করেন স্থানীয় পুষ্টিহীন ও দুস্থ শিশুদের কল্যাণে। ক্রীড়াক্ষেত্র ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত।
তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, সোনালী অতীত ক্লাব-ঢাকা, সাতক্ষীরা জেলা সমিতি-ঢাকাসহ বিভিন্ন সংগঠন তাঁকে সম্মাননা দিয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn