মঙ্গলবার - ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২২শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

ফরিদুল ইসলামের চেষ্টায় ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ

ফরিদুল ইসলামের চেষ্টায় ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ

 

বৃহত্তর খুলনার (খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলা) সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য সরকার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। একই দিন বাগেরহাট পৌরসভার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের জন্য আরও এক কোটি টাকার বিশেষ অনুদান বরাদ্দ দেয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পগুলো বরাদ্দ আনতে উপকূলীয় অঞ্চল খুলনা বিভাগের প্রয়োজনীয়তার কথা সরকারের উচ্চপর্যায়ে অবহিত করেন সচিব ড. মো. ফরিদুল ইসলাম।

সূত্র আরও জানায়, গত কয়েক মাস ধরে কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে প্রকল্পগুলোর গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন ফরিদুল ইসলাম।

ফরিদুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে বলেন, “বুধবার (৭ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পগুলো পাশ হওয়ায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা, বিশেষ করে বন্ধুবর মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সচিব মোঃ সাইফুল্লাহ পান্না, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ও বিএডিসি চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল আমিন খানকে বৃহত্তর খুলনা তথা বাগেরহাটবাসীর পক্ষ থেকে আমি ধন্যবাদ জানাই। জলবায়ু পরিবর্তনের এই সময়ে খুলনার কৃষি ব্যবস্থাপনা গত কয়েক যুগে নাজুক অবস্থায় পৌঁছে গেছে। এই প্রকল্প আমাদের কৃষকদের নতুন দিনের স্বপ্ন দেখাবে।”

বাগেরহাট পৌরসভায় কোটি টাকা

সরকারি আরেক চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নগর উন্নয়ন বাজেটের আওতায় বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ১,০০,০০,০০০ (এক কোটি) টাকা, যা উন্নয়ন বাজেট কোড ৩৬০৫১০১-৪৮০০১১৫-২০৪১-৪৩১১-এর আওতায় ছাড় করা হবে।

এই অর্থ সম্পূর্ণভাবে অনুদান হিসেবে প্রদান করা হয়েছে এবং তা টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যবহার করতে হবে। উন্নয়ন কাজের ব্যয় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নির্ধারিত আর্থিক নীতিমালা অনুসরণে জোর দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের সকল খরচ নিরীক্ষার আওতায় থাকবে এবং যথাযথ রেকর্ড সংরক্ষণের নির্দেশ রয়েছে।

চিঠির শর্তাবলিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, বরাদ্দকৃত অর্থ ড্রেন, কালভার্ট, রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কারের মতো প্রকল্প ব্যতীত অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

এটি বাগেরহাট পৌরবাসীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা শহরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নাগরিক সেবার মান বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn