বুধবার - ১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২২শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালের ডাঃ শাহীন জোয়াদ্দার বখাটেদের হামলায় গুরুতর আহত

ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালের ডাঃ শাহীন জোয়াদ্দার বখাটেদের হামলায় গুরুতর আহত

 

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ ডিসেম্বর-২৪ তারিখে সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার শাহীন জোয়াদ্দার স্থানীয় কিছু বখাটেদের হাতে হামলা শিকার হলেন। সরে জমিনে যেয়ে জানা যায় ডাক্তার শাহীন জোয়াদ্দার জরুরী ভিত্তিতে রোগী দেখতে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় স্থানীয় বখাটে মোঃ মুত্তাকিন পিতা, মোঃ আলমগীর গ্রামঃ বড় বাড়ি এলাকা এর সহিত ধাক্কা লাগে। এ সময় ডাঃশাহীন জোয়াদ্দার বখাটেদের বলেন তোমরা একটু দেখে শুনে সিঁড়ি দিয়ে নামতে পারতে এভাবে নামলে কেউ পড়ে যেতে পারে। ডাক্তারের এই কথা শুনে বখাটেরা তর্কে জড়িয়ে পড়ে ধস্তাধস্তি করে এক পর্যায়ে চলে যায় তারা। কিছুক্ষণ পরে মুত্তাকিন ফোন করে হাসিব শিকদার(২১) ছোট হাসিব (১৯)সহ বেশ কয়েকজন সঙ্ঘবদ্ধরা তাদের দল বল নিয়ে এসে মেডিকেল হাসপাতালের ৫০০ বেডের মেন ফটকের সামনে ডাক্তারকে এলোপাথাড়ি লাটিসুটা দিয়ে পিটাতে থাকে এ সময় তার একটি দাঁত ভেঙ্গে পড়ে যায়। এহেন পরিস্থিতিতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় পুলিশকে ফোন দিলে পুলিশ দ্রুত গতিতে ঘটনাস্থল এসে নিয়ন্ত্রণ করেন। এ সময় পুলিশের হাতে মেডিকেলের ইন্টার্নি ডাক্তার ও অন্যান্য কর্মচারীরা মিলে হাসিব নামে একজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ইন্টারনি ডাক্তার ও নার্সরা মেডিকেলের পরিচালক ডাঃ মোঃ হুমায়ুন কবির কে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই বখাটেদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিলে তারা পরিচালক কে অবরুদ্ধ করে রাখবেন।মেডিকেলের ডাক্তার ও নার্স এবং অন্যান্য কর্মচারীরা বখাটেদের গ্রেপ্তারের জন্য ১২ ঘন্টা সময় বেঁধে দেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমার কাছে দাবি করেন। পরবর্তীতে শৈলেন চাকমা আশ্বস্ত করলে মেডিকেলের ইন্টার্নি ডাক্তার নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীরা যার যার কর্মস্থলে ফিরে যান। মেডিকেলের ডাক্তার নার্স ও কর্মচারীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমার কাছে তারা ২৪ ঘন্টা ব্যাপী মেডিকেলের ভিতরে পুলিশী ডিউটি করবে মর্মে একটি আবেদন করেন। শৈলেন চাকমা সার্বিক দিক বিবেচনা করে মেডিকেলে পুলিশ দিতে সম্মতি জ্ঞাপন করেন এবং কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান কে নির্দেশ দেন সার্বক্ষণিক মেডিকেলে পুলিশি ডিউটি দেওয়ার জন্য। মোঃ হাসিবকে কোতয়ালী থানার এস আই ফাহিম ফয়সাল তরফদার ও এস আই মোর্শেদ এবং অন্যান্য পুলিশ সদস্যগণ দ্রুত গতিতে পুলিশের কাভাট ভ্যান করে থানায় নিয়ে যান। এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ দৈনিক সকালের সময় সাংবাদিকদের বলেন ভিডিও ফুটেজ দেখে সকল বখাটেদেরর সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn