ফরিদপুরে স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পিস্তলসহ দুজন আটক
ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন টেপাখোলা থেকে দু’জন সন্ত্রাসীকে বিদেশি পিস্তল সহ গ্রেফতার করেছেন ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ। জানা যায় স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি করে এই দুজন কে আটক করা হয়।১৯ ডিসেম্বর-২৪ তারিখে রাতে ফরিদপুর শহরের পূর্ব টেপা খোলা এলাকা থেকে বিদেশী পিস্তলসহ তাদের আটক করা হয়। আটককৃত আসামি সম্পর্কে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শৈলেন চাকমা সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, ফরিদপুর সদর উপজেলার সাদিপুর গ্রামের মোঃ ফরহাদ মৃধার ছেলে মোঃ ফয়সাল হোসেন (৩৭)ও টেপাখোলা এলাকার মোঃ ইউনুস আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) শৈলেন চাকমা বলেন, ফয়সালের স্ত্রী কামরুন্নাহার বুধবার কোতোয়ালি থানায় এসে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে কোতয়ালী থানা পুলিশ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সহিত অভিযান পরিচালনা করেন। নুরুন্নাহার বলেন কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার বড় বোন নুরুন্নাহারকে পিস্তল ঠেকিয়ে ধরেন আমার স্বামী ফয়সাল। অভিযোগের ভিত্তিতে চিরূনী অভিযান চালিয়ে ফয়সাল ও নজরুলকে আটক করেন। এসময় কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদউজ্জামান বলেন এস আই ফাহিম ফয়সাল তরফদার ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের একটি চৌকস টিম প্রথমে ফয়সাল কে আটক করেন। আটককৃত ফয়সাল বলেন এই অস্ত্রটি আমার না আমি মাত্র অস্ত্রর বাহক হিসেবে ছিলাম আমি আমার স্ত্রীর বড়ো বোন কে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার কপালে অস্ত্র ঠেকিয়ে ধরি বলে স্বীকার করেন।পরবর্তীতে ফয়সালের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নজরুল ইসলামকে তার নিজ বাড়ির পাশে থেকে একটি ম্যাগজিন ও দুটি গুলিসহ বিদেশি পিস্তলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় কোতয়ালী থানা পুলিশ। ফয়সাল এর স্ত্রী আরও জানান
যখন আমার বড়ো বোনকে আমার স্বামী অস্ত্র ঠেকিয়ে ধরে তখন আমি একটি ভিডিও ধারণ করি। বর্তমানে এই দুই দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় ফয়সাল ও নজরুল ইসলামের
বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদউজ্জামান।