ফরিদপুরে এক স্কুল ছাত্রকে জ্যান্ত পুঁতে ফেলে হত্যার চেষ্টা
ফরিদপুরে স্কুল ছাত্র জিহাদকে কবর খুঁড়ে জ্যান্ত পুঁতে ফেলে হত্যার চেষ্টা প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন জিহাদের বাবা মা সহ এলাকাবাসী।৯ডিসেমবর-২৪ তারিখ সোমবার বিকেল তিন ঘটিকার সময়
শহরের আলীপুরে অবস্থিত একটি সংবাদপত্র কার্যালয়ে ফরিদপুরে জিহাদ নামে এক স্কুল ছাত্রকে কবর খুঁড়ে জ্যান্ত পুঁতে ফেলে হত্যার চেষ্টা প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জিহাদের পিতাঃ ফরিদপুর সদরের বড় মাধবপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মোস্তাক মাতুব্বর। তার ছেলে জিহাদকে রাতের আঁধারে ধরে নিয়ে বেদম মারপিটের পর মাটি খুড়ে জ্যান্ত পুতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেন। এসময় জিহাদের বাবা বলেন এলাকার কিছু বখাটে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা আমার ছেলেকে হত্যা করার জন্য একটি কবর স্থানে নিয়ে যান।
তিনি আরো জানান গত শনিবার রাতে তার ১৩ বছর বয়সী স্কুলপড়ুয়া ছেলে জিহাদ মাতুব্বর ওয়াজ শুনতে যাওয়ার সময় এলাকার বখাটে কতিপয় কিশোর তাকে ধরে বেদম মারপিটের পরে একটি কবরস্থানে নিয়ে কবর খুড়ে জ্যান্ত পুতে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় তারা জিহাদকে তার বাবার নিকট থেকে পাঁচলাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং তাৎক্ষণিক নিয়ে আসতে বলে তা না হলে যাকে জ্যান্ত পুতিয়ে ফেলা হবে। জিহাদকে উদ্ধারে পর রাতেই ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রচন্ড ভয় এবং আতঙ্কের মধ্যে আছে বলে জানিয়েছেন জিহাদের বাবা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জিহাদ জানান, ক’দিন আগে তার চাচাতো ভাইদের বাড়ির পেছনে নদীর পাড়ে জড়ো হয়ে শোরগোল করতে থাকা একদল বখাটের নিকট সেখানে কারা বলে উচু স্বরে জানতে চেয়েছিলাম। এর জের ধরে ওইদিন সন্ধ্যাবেলায় প্রথমে তাকে একদফায় মারপিট করা হয়। এরপর শনিবার রাতে বাবার নিকট থেকে হালিম খাওয়ার জন্য টাকা নিয়ে ওয়াজের মাঠে যাচ্ছিলো সে। তখন ওই যুবকেরা তাকে দোকান থেকে সিগারেট কিনে আনতে বলে আর তারপর তার সিগারেট কেনার ভিডিও করে। তখন তার বাবাকে সিগারেট কেনার ভিডিও দেখিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে জিম্মি করে নিয়ে যায় কবর স্থানে।
এ ঘটনায় তার বাবা মোস্তাক মাতুব্বর বাদি হয়ে রবিবার রাতে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় মোঃ সিফাত (২৪), মাসুম (২৩), মারুফ (২০), আরাফাত (২০), সজল (২২), সাকিল (১৯) সহ আরো চার পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আসামী করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এই নারকীয় ঘটনায় জারা জড়িত রয়েছে অবিলম্বে তাদের কে গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানান। এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে এই কিশোর গ্যাংদেথকে ধরার চেষ্টা করছি।