
ফটিকছড়িতে রাতের আঁধারে জমির উদ্দিন নয়ন নামে(২৭) বছর বয়সী এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (৭ আগস্ট) রাত ১১ টার সময় উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কুলাল পাড়ার পাশে সাদ্দামের খামার সংলগ্ন এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নয়ন পাশ্বর্বতী খিরাম ইউনিয়নের হচ্ছার ঘাট এলাকার কবির আহমদ তালুকদার বাড়ির জনৈক জাবেদুল আলমের একমাত্র ছেলে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের মামা আব্দুল মাবুদ সাকিব জানান, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মোটরসাইকেলে করে নয়নকে সাথে নিয়ে কেবিএম ব্রিক ফিল্ড দিয়ে চলে যাচ্ছিলাম।এ সময় বেশ কয়েকজন যুবক অস্ত্র নিয়ে আমাদের গতিরোধ করলে ভয়ে আমি পালিয়ে দূরে লুকিয়ে পড়ি। অস্ত্রধারীরা নয়নকে ধরে সত্তা খালের দিকে নিয়ে যায়।
পরে তাকে খুঁজতে গিয়ে খাল সংলগ্ন বালু মহালের পাশে নয়নের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে নয়নের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ফটিকছড়ি থানার ওসি মীর মো. নুরুল হুদা লাশ উদ্ধারের তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, লাশের মাথায় একাধিক কোপ রয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি কিরিচ ও দুইটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি পাওনা টাকা ও ব্যবসায়িক আধিপাত্য নিয়ে হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে। ঘটনাটি তদন্ত করে আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে জানালেন ওসি।
একাধিক সূত্র জানায়, সোমবার দিবাগত রাতে সর্তা খালের উজান থেকে পানির সঙ্গে কিছু দামি কাঠ ভেসে আসছিল। এসব কাঠ সংগ্রহ করতে খালের কমিটিরহাট অংশে ১৫-২০ জনকে নিয়ে গিয়েছিল নয়ন। কিন্তু দক্ষিণ খিরামের ময়ুর গ্রুপের আরও কয়েকজন যুবক এসব কাঠ সংগ্রহ করতে যায়। পাহাড়ি ঢলে ভেসে আসা এসব কাঠ দখল নিয়ে ময়ুর গ্রুপের সাথে নয়নের বাকবিতণ্ডা হয়। সুত্র জানায় দু পক্ষই কাঠের জনৈক মালিকের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। কাঠের মালিক কিছু টাকা দিতেও রাজি হয়। ময়ুর গ্রুপ নয়নকে কিছু টাকা নিয়ে চলে যেতে বললে নয়ন তাতে রাজি হয়নি। এতেই বিপত্তি দেখা দেয়। এসময় দুপক্ষই তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ময়ুর গ্রুপের হামলায় ঘটনাস্থলেই প্রান হারায় নয়ন। এসময় নয়ন গ্রুপের পাল্টা হামলায় ময়ুর গ্রুপের বেলাল নামে একজন গুরুতর আহত হয়।