রবিবার - ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১৯শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

ফটিকছড়ির দাঁতমারা : পুরুষশুন্য গ্রামে প্রবাসীদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট

ফটিকছড়ির দাঁতমারা :
পুরুষশুন্য গ্রামে প্রবাসীদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট

বিশেষ প্রতিনিধি :-

ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের বালুটিলা বাজারের সংঘটিত হত্যাকান্ডের জেরে এলাকার প্রবাসীদের বাড়িঘরে আগুন দিয়ে লুটপাট শুরু করেছে একটি পক্ষ।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত নয়টায় দিকে জয়নাল আবেদীন এবং ইউসুপ মেম্বারের নেতৃত্বে ফুলছড়ি বালুটিলা বাজারে প্রবাসী শামীম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেয়া হয়। ১৩ ই ফেব্রুয়ারী বাইরাইন থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি। আগুন লাগানো বাড়িটির গৃহিণী হাসনে আরা নিপা জানান, রাতে একদল লোক হঠাৎ করে বাড়িতে ডুকে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ ছিলো না। মহিলাদের ঘরে থেকে বের করে দিয়ে ঘরের আলমারি খুলে নগদ দুই লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বাড়িতে।

হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িতদের আড়াল করে প্রবাসীদের টার্গেট করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়রা জানান , ফুলছড়ি বালুটিয়া বাজারের মুরগি দোকানদার রফিকুল ইসলামের দোকান লুট করা হয়েছে রবিবার রাত আটটার দিকে। আনোয়ারা হোসেন নামের আরেক ফার্মেসি দোকানদারের দোকান লুট করা হয়েছে একই সময়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করে প্রবাসীদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও মিলছে না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইউসুফ আলীর মেম্বার ও দাঁতমারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আকতার হোসেনের রাজনৈতিক দ্বন্দ সহিংসতায় রুপ নেয়। বেশ কয়েকদফা হামলা পাল্টা হামলার ঘটনার পর ২৫ শে মার্চ রাতে মাসুদ (৩৬) নামে এক যুবককে ছুরিকাহত করে হত্যা করা হয়। শনিবার রাতে তারাবির নামাজের পর দাঁতমারা ইউনিয়নের বালুটিলা এলাকায় দুই পক্ষের বাগবিতন্ডার জেরে মাসুদকে ছুরিকাঘাত করা হলেও এই ঘটনার পর থেকে বিদেশ থেকে ঈদ করতে আসা বিভিন্ন প্রবাসীর বাড়িকে টার্গেট করা হয়েছে। নিহত মাসুদ দাঁতমারা ইউনিয়নের ১ নম্বর বালুটিলা ওয়ার্ডের সাইদুর রহমানে ছেলে।নিহত মাসুদ স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউসুফ আলীর অনুসারী বলে জানা গেছে।

দাঁতমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজের আহমেদ বলেন, ‘ একজন প্রবাসীর ঘরে আগুন লাগানোর ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। ‘

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn