
ফটিকছড়ি উপজেলা জুয়া খেলার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি জায়গার মধ্যে পাইন্দং ইউপির খলিলের চায়ের দোকান অন্যতম।
দীর্ঘদিন যাবৎ চায়ের দোকানের আড়ালে জুয়াড়িদের দিয়ে জুয়ার আসর বসাতো এই খলিল। কোনো কিছুর তোয়াক্কা ছাড়াই এ দোকানে ফিট, তাস, নিষিদ্ধ জুয়া খেলা চলতো।
সোমবার (৭আগস্ট) নিত্যদিনের মতো জুয়া খেলার আসর বসায় খলিল। সময় বাঁধা দেয়ায় এনামুল হক (৪৫) নামে এক প্রবাসীকে এলোপাতাড়ি একাধিক ছুরিকাঘাতে জখম করে চায়ের দোকানী মো. খলিল (৩০)।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউপি’র ৭নং ওয়ার্ডের বকসুর ঘাটায় এ ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার প্রত্যাক্ষদর্শী, “মো.শহিদুল বলেন- ঘটনার সময় আমি দোকানের বাইরে বসে ছিলাম। আহত এনাম ভাইয়ের সাথে তাস খেলা নিয়ে মোহাম্মদ হোছেনের সাথে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল।এমন সময় দোকানদার খলিল বাইরে বের হয়ে হঠাৎ ছোট একটি চুরি দিয়ে এনাম বদ্দাকে এলোপাতাড়ি জখম করে। এমন সময় আমি বাঁধা দিয়ে গেলে আমাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
পরে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রবাসী এনামকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এ পাঠানো হয়। বর্তমানে সে চট্টগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা মো.সরোয়ার বলেন- ছুরিকাঘাতের পর চুরিটা ভেঙে গেলে পাশের বিলের মধ্যে ফেলে দেয় দোকনদার খলিল। এসময় মানুষ ছুরিকাঘাতে বাঁধা দিতে আসলে সওদাগর খলিল পালিয়ে যায়।
এছাড়াও স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন- এ দোকানে সব সময় জুয়া চলে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানার জন্য অভিযুক্ত দোকানদার খলিলের সাথে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে ৭নং ইউপি সদস্য মো.শহিদ বলেন- শুনেছি দোকানে ২৯ খেলার সময় প্রবাসী এনাম বাঁধা দেয়। এমন সময় ওই দোকানের সওদাগর খলিল এনামকে ছুরিকাঘাত করে।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মীর মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন- খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।