দীর্ঘদিনের প্রেম সুত্র ধরে সাদিয়া ও আলীর গত চার মাস আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।বিয়ের পর ঠিকঠাক মতো সংসার চলছে।তাদের সংসারে হঠাৎ সংসারে মনোমালিন্য শুরু হয়। মনমালিন্যের এক পর্যায়ে গতকাল ২৫ মে গলায় ফাঁস লাগান সাদিয়া আকতার (২২) । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফটিকছড়ি পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের আনন্দ ক্লাব সংলগ্ন কাশেম কলোনীর ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে । খবর পেয়ে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল তৈরী করে নিয়ে যায়।
জানাযায় এ বছরের ১ জানুয়ারী উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়নের পয়ার তালুকদার বাড়ির নুরুচ্ছাপার পুত্র আলীর সাথে একই ইউনিয়নের কেঁড়াছড়ি এলাকার মেয়ে সাদিয়া আকতারের বিয়ে হয়। বিয়েটি মেয়ে পক্ষ মেনে নিলেও ছেলের পরিবার মেনে নিচ্ছেনা। যার কারনে বিয়ের পর থেকে স্বামী স্ত্রী দুইজন ফটিকছড়ির পৌর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো।
নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে জানাযায় দুপুরে মেয়েকে দেখতে আসেন মা। খেয়ে দেয়ে বিকালের দিকে তিনি চলে যান। এ সময় সাদিয়ার ম্বামী আলী বাসায় ছিলনা। আসার জন্য স্ত্রী সাদিয়া স্বামী আলীকে ফোন দিলেও রিসিভ করেনি। পরে সন্ধ্যার দিকে জানালার গ্রীলের সাথে গলায় ওড়না প্যাচানো অবস্থায় গৃহবধু সাদিয়ার লাশ দেখতে পায় ভাড়াটিয়ারা।
এ বিষয়ে নিহত গৃহবধুর ভাই সবুজ জানান প্রেমের এক মাসের মাথায় এসে চার মাস পূর্বে দুই জনের বিয়ে হয়। বিয়েটি ছেলে পক্ষ মেনে না নেয়ায় স্বামী স্ত্রী ভাড়া বাসায় থাকতো। সবুজ অভিযোগ করে বলেন স্বামী আলী আমার বোনকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে।
নিহত গৃহবধুর স্বামী আলীর বক্তব্য জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি নিজেও বুঝতে পারছিনা কি হয়ে গেল।
এ বিষয়ে ফটিকছড়ি থানার ওসি কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার বলেন গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবতী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।