রবিবার - ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

প্রেমের ফাঁদে ফেলে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক বিয়ের চাপ দেওয়াতে যুবক আত্মগোপনে

প্রেমের ফাঁদে ফেলে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক বিয়ের চাপ দেওয়াতে যুবক আত্মগোপনে

 

আ: মজিদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ ছয় বছর শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। তার বাড়ি ভোলা জেলার রাজাপুর ইউনিয়নের মেদুয়া গ্রামে।তার পিতার নাম আবু তাহের হাওলাদার, মাতার নাম শাহিনুর বেগম।

মেয়ে সুমাইয়া আক্তার জেলা বরিশাল উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জ চাঁনপুর ইউনিয়ন।ছয় বছর আগে সোসাল মিডিয়া ফেসবুকে প্রথম তাদের পরিচয় অভিযুক্ত যুবক আঃমজিদ বিভিন্ন সময় মেয়ে সুমাইয়া কে টেক্সট মেসেজ দিতে থাকে এক পর্যায়ে মেয়ে মেসেজের রিপ্লাই দেয় এর পর ধীরে ধীরে তাদের ভিতরে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্ক যখন গভীর হয় তারা দুজন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায় সম্পর্ক আরো গভীর হলে অভিযুক্ত আঃমজিদ মেয়ের সাথে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। এভাবে প্রায় চার বছর দেখা করার কথা বলে বিভিন্ন যায়গায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতো। বিয়ের জন্য বললে অভিযুক্ত যুবক বলতো একটা ভালো চাকুরী হলে দুজন বিয়ে করবে।২০২২ সালে অভিযুক্ত আঃমজিদের মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের দাখিল শাখার দৈনিক মজুরি হিসেবে অফিস সহায়ক(পিয়ন)চাকুরী হলে সে ঢাকা চলে আসে। ঢাকা চলে আসার পরেও মোবাইল ও মেসেঞ্জারে প্রতিনিয়ত তাদের দুজনের মধ্যে যোগাযোগ চলে। বিগত তিন মাস আগে মেয়ে সুমাইয়া যখন বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে আস্তে আস্তে আঃমজিদ যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ফেসবুক আইডি ডি এ্যকটিভ মোবাইল নাম্বার ব্লক এমন কি যে নাম্বার দিয়ে কথা বলতো ঐই মোবাইল নাম্বার পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়।

অভিযুক্ত যুবক যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে মেয়ে ঢাকা এসে তার অফিসে গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় এমনকি তার অফিসের সহযোগীদের কাছে বলে যে মেয়ে প্রশাসনিক ভাবে তার কিছুই করতে চাইলে পারবে না।

ঘটনার সত্যতা জানার চেষ্টা করলে অভিযুক্ত আঃমজিদ বলেন তার সাথে আমার সম্পর্ক ছিল মেয়ে নাকি তার পারিবারিক কথা গোপন রেখে সম্পর্ক গড়ে তোলে।এর পরে পারিবারিক ভাবে সমাধান করার জন্য একাধিক বার হোয়াটসঅ্যাপ এবং মোবাইল নাম্বারে কল দিলেও আঃমজিদ ফোন রিসিভ করেননি।এই বিষয়ে একাধিক বার সমাধানের চেষ্টা করেও সমাধান না হওয়াতে মেয়ে সুমাইয়া আইনের আশ্রয় নিবে জানা গেছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn