
রাজবাড়ীর পাংশায় রুনা খাতুন (৩০) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
আজ ২০ আগস্ট ভোরে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মুছিদাহ খামারডাঙ্গী গ্রামের কাতার প্রবাসী আনিছুর রহমানের বাড়ি থেকে রুনার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রুনা আনিছুর রহমানের স্ত্রী।
নিহতের স্বজনরা জানান, কাতার প্রবাসী আনিছুর রহমানের স্ত্রী রুনা খাতুন দুই শিশু সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকতেন। ১৯ আগস্ট দিবাগত রাতে সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন রুনা। রাত ২টার দিকে দেড় বছর বয়সী ছোটভাইয়ের কান্নায় রুনার ১০ বছর বয়সী মেয়ে উম্মে সিনহার ঘুম ভাঙলে সে দেখে তার মা বিছানায় নেই। এরপর সে বারান্দায় এসে দেখে প্রতিবেশী মিলন শেখ সেখানে দাঁড়িয়ে আছে; আর বাড়ির উঠানে তার মা পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে। সে সময় তার চিৎকারে পালিয়ে যায় মিলন। মায়ের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের ডেকে আনে উম্মে সিনহা। প্রতিবেশীরা এসে দেখে তার মা মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। আজ রোববার সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। একইসঙ্গে হত্যায় জড়িত মিলনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে।
মিলন শেখ (২৫) একই গ্রামের খলিল শেখের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মিলন শেখ কোনো প্রকার কাজকর্ম করেন না। তার স্ত্রী চম্পা খাতুন মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে সংসার চালান।
রাজবাড়ীর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা জানান, নিহত রুনার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে হত্যার সঙ্গে জড়িত মিলনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।