রবিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

প্রবাসীর মরদেহ দেশে মৃত্যুর ১৪দিন পর নিজ গ্রামে দাফন

প্রবাসীর মরদেহ দেশে মৃত্যুর ১৪দিন পর নিজ গ্রামে দাফন

গ্রিস প্রবাসী তরিকুল ইসলাম মুকুলের (৪৫) কফিনবন্দি লাশ ১৪ দিন পর দেশে পৌঁছেছে। তিনি যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের পাড়ের কায়বা গ্রামের মৃত দ্বীন আলী গাজীর ছেলে। চলতি মাসের মার্চের ৮ তারিখে গ্রিসের এথেন্সে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।

শনিবার (২২ মার্চ) সকাল ৮ টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

শুক্রবার (২১ মার্চ ) রাত ১০ টার দিকে গ্রিস থেকে তার লাশের কফিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত ১১ টার দিকে লাশটি গ্রহণ করে তার পরিবার।

তরিকুল ইসলাম মুকুলের পরিবারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

নিহত মুকুলের স্ত্রী মাহামুদা খাতুন বলেন, ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় এবং পরিবারকে সুখে রাখতে ২০০৪ সালে ইউরোপের দেশ গ্রিসে যায় মুকুল। ২২ বছর ধরে সেখানে প্রবাস জীবন কাটিয়েছেন তিনি। মাঝে মধ্যে দেশে এসে পরিবারের সাথে সময় কাটিয়ে যেতেন। চলতি বছরের জুন মাসে ছুটিতে দেশে আসা কথা ছিল তার। চলতি মাসের মার্চের ৮ তারিখে গ্রিসে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। তিনি বলেন, তার মৃত্যুতে এখন আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম। কী করব, ভেবে পাচ্ছি না।

এদিকে আজ শনিবার ভোর ৫ টার দিকে তার লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স পাড়ের কায়বা গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে স্বজনদের কান্নার রোল পড়ে যায়। এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি দেখা যায়। সকালে তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

শার্শা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. কাজী নাজিব হাসান জানান, প্রবাসে কেউ মারা গেলে বা তার লাশ ফেরত আসলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ওই পরিবারকে সহযোগিতা করা হয়। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ আসলে নিহত মুকুলের পরিবারকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করব।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn