রাঙ্গুনিয়া ঐতিহ্যবাহী ইছামতি ধাতুচৈত্য বিহার কমপ্লেক্স এর শ্রদ্ধাবান উপাসক প্রয়াত উপেন্দ্র লাল বড়ুয়া ও তৎসহধর্মিনী হীরন্মময়ী বড়ুয়া দ্বিতীয় পুত্র ইছামতি ধাতুচৈত্য বিহার কমপ্লেক্স এর পরিচালনা কমিটির সাবেক সহ সভাপতি প্রয়াত মৃণাল কান্তি বড়ুয়া ও তার সহসর্মিনী নিউমা বড়ুয়ার সুযোগ্য দ্বিতীয় পুত্র ইছামতি ধাতুচৈত্য বিহার কমপ্লেক্স ও ধর্মানন্দ বৌদ্ধ অনাথালয়ের আজীবন দাতা সদস্য, রাঙ্গুনিয়া ইছামতি ৯নং ওয়ার্ড নিবাসী, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য বাবু প্রদ্যুৎ বড়ুয়া(টাবু) ১৬ মার্চ ভোর ৪.৩০মিনিটে কলকাতায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। পরের দিন ১৭ মার্চ নিজ বাড়িতে অনিত্যসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কুলকুলমাই সর্দ্ধমোদয় বিহারের অধ্যক্ষ ধর্মসেন মহাথেরো, আশীর্বাদক ছিলেন উপ-সংঘরাজ প্রিয়দর্শী মহাথেরো, প্রধান সদ্ধর্মদেশক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বৌদ্ধ পন্ডিত প্রফেসর ড. জিনবোধি মহাথেরো।ইছামতি ধাতুচৈত্য বিহার কমপ্লেক্স এর অধ্যক্ষ সুমঙ্গল মহাথেরো, সোনাইছড়ি রাজ বিহারের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুনন্দ মহাথেরো, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সাবেক মহাসচিব ও চাঁন্দগাও সার্বজনীন শাক্যমনি বিহারের অধ্যক্ষ সদ্ধর্মকোবিদ এস. লোকজিৎ মহাথেরো, মোগলটুলী শ্মশান বিহারের অধ্যক্ষ তিলকাবংশ মহাথেরো, সোমানন্দ মহাথেরো, ধর্মরক্ষিত মহাথেরো, কমদতলী ধর্মাংকুর বিহারের অধ্যক্ষ দীপংকর মহাথেরো, নজেরটিলা সার্বজনীন ধাতুরত্ন বিহারের অধ্যক্ষ সত্যানন্দ থেরো, নন্দপাল থেরো, জ্ঞাননন্দ থেরো, শিলক মনিহারগড় বিহারের অধ্যক্ষ সুমনশ্রী থেরো, দীপানন্দ থেরো, আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ উন্নয়ন সংস্থা এর চেয়ারম্যান ও সংগঠক জে. বি. এস. আনন্দবোধি থেরো, সৈয়দবাড়ি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ নন্দশ্রী থেরো, শিলক শান্তিকুঞ্জ লুম্বিনী বিহারের অধ্যক্ষ ধর্মমিত্র ভিক্ষু, সুশেস্বর ভিক্ষু, শামনরক্ষিত ভিক্ষুসহ আরো অর্ধশতাধিক মহান পূজনীয় ভিক্ষু সংঘ উপস্থিত ছিলেন। সদ্ধর্মদেশনায় বলেন, প্রদ্যুৎ বড়ুয়ার মতো উদার সংঘসেবক এবং বহু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে তার মহানুভবতা যথেষ্ট প্রশংসার দাবী রাখে। তাছাড়াও তিনি মানবতার সেবক হিসেবে অসহায়,দরিদ্র এবং দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদেরকেও সাধ্যমত সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করে গেছেন।
মৃত্যু মানুষের জীবনে অবধারিত। নিঃস্বার্থ,ত্যাগ মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। ব্যক্তি স্বার্থের উদ্ধে উঠে সামগ্রিক কল্যাণে ভূমিকা রাখায় মানবতা ও মনুষ্যত্বের প্রকাশ। প্রত্যাশা করি তার মতো উদারপ্রাণ সেবক তৈরী হোক এটাই প্রত্যাশা করি।