শুক্রবার - ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

প্রতারনা করে বিয়ে আর টাকার জন্য নারী নির্যাতন যেন মহসিনের পেশা

প্রতারনা করে বিয়ে আর টাকার জন্য নারী নির্যাতন যেন মহসিনের পেশা

 

প্রতারনা করে বিয়ে করা এবং টাকার জন্য সেই বউকে অমানুষিক নির্যাতন করা যেন মহসিনের পেশায় পরিনত হয়েছে।
কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামের আব্দুল মতিন’র পুত্র মো. মহসিন নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ কারী নারী সুমি আক্তার (ছদ্মনাম) জানায় মহসিন একজন প্রতারক। সে টাকার জন্য নানা কৌশলে প্রতারনা করে জায়গায় জায়গায় বিয়ে করেন এবং টাকার জন্য নারীকে নির্যাতন করেন। এ যেনো তার পেশায় পরিনিত হয়েছে।

নির্যাতিতা ভুক্তভোগী সুমি আক্তার জানায়, গত ২০/০৩/২০২২ ইং তারিখে পারিবারিক ভাবে মহসিনের সাথে সুমি আক্তারের ১০,০০০০০/= দশ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য করে বিয়ে হয়। কিছু দিন না যেতেই ভুক্তভোগী সুমি জানতে পায় মহসিনের আরো দুটো বিয়ে করা বউ আছে এবং একজনকে তাহার বাড়িতে নিয়ে আসলে ভুক্তভোগী তাহার আগের অতীতের ঘটে যাওয়া ঘটনা বিবেচনা করে সংসার করতে থাকে, কিন্তু মহসিন তার আরেক সহধর্মিণী সুমাইয়া আক্তারকে নিয়ে ভুক্তভোগী সুমির কাছ থেকে ব্যবসার জন্য প্রথমে প্রায় দুই লাখ পনেরো হাজার টাকা নেয়, এর কিছু দিন পর মহসিন আবার সুমিকে টাকার জন্য বললে ভুক্তভোগী সুমি তাহার বাবার বাড়ি থেকে দেওয়া অলংকার প্রতারক মহসিন এর প্রলোভনে ও কথায় বিশ্বাস করে দিয়ে দেয়।

ভুক্তভোগী সুমি জানায়, তাহার ব্যবহারের সব অলংকার আনুমানিক ৫ ভরি স্বর্নালংকার মহসিন বন্ধক দিয়ে দেয়। কিছু দিন পর সবকিছু শেষ হলে পুনরায় টাকার জন্য ভুক্তভোগী সুমিকে চাপ দিলে একপর্যায়ে সুমি আর টাকা দিতে পারবে না বললে মহসিন এবং তার অন্য স্ত্রী সুমাইয়া তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায় এবং ভুক্তভোগী সুমি আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল হসপিটালে ভর্তি করে ভুক্তভোগীর পরিবার এবং তাহার জীবনের নিরপওার ও সঠিক বিচার পাওয়ার জন্য নারী শিশু নির্যাতন দমনআইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩ এর ১১( গ) ৩০ দায়ের করে এবং মারপিট করার উক্ত বিষয়ে বিজ্ঞ সিপি ৩১১/ ২৪ মুলে মামলা হয়, মামলা বিচারাধীন অবস্থায় মহসিন ৭/৩/২০২৫ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ৮:০০ ঘটিকায় ভুক্তভোগী সুমি তাহার বোনের বাড়ি থেকে আসার সময় রাস্তায় একা পাইয়া মামলা তুলে নেওয়া জন্য অপহরণ সহ হত্যার হুমকি দেয়। পরে পথচারী দেখলে মহসিন স্থান ত্যাগ করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহসিনের গ্রামের একজন জানায়, সে ৬ টার অধিক বিয়ে করেছে এবং তার বিরুদ্ধে দুটি চেকের মামলায় তার সাজা হয়। এই পর্যন্ত একটি মেয়ে তাকে তালাক দিয়ে নিদাবী জীবন বাঁচানোর জন্য তিনজন উপযুক্ত ছেলে মেয়ে নিয়ে চলে যায় এবং বলেন তাহার মতো মানুষের সঠিক বিচার দ্রুত না হলে আরো অনেক নারীর জীবন নষ্ট হবে।

এবিষয়ে সুষ্ঠ বিচারের দাবি করে সুমি জানান, তাহার বাবার বাড়িতে ভুক্তভোগী সুমির গর্ভে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করে এবং প্রায় তিন বছর ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে। তিনি সরকারের প্রতি ওই প্রতারকের সুবিচারের দাবি করেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn