
পেকুয়ায় খাস জমি জবরদখল করতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ৫
কক্সবাজারের পেকুয়ায় দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় খাসজমি জোরপূর্বক সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে
জবরদখল করতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৫ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে চমেকে প্রেরণ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
২৭ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৈরভাঙ্গা বলিরপাড়া এলাকার আগে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় আহত হলেন ওই এলাকার নুরুল ইসলামের পুত্র মনজিরুল ইসলাম, মশরফ আলীর পুত্র মোহাম্মদ ইব্রাহিম, তার ভাই লিয়াকত আলী, জাকের হোসেনের পুত্র হুমায়ন আজাদ, তার ভাই শফিকুল কাদের।
আহতদের স্বজন তামজিদ জানান, ঘটনার দিন সকালে আমাদের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় খাসজমিতে জোরপূর্বক সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ধানের চারা রোপন করে একই এলাকার ফজল করিমের পুত্র সাহাবউদ্দিন প্রকাশ শাহাবমিয়া। এসময় জাকের হোসেনের পুত্র শফিকুল কাদের তাদেরকে বাঁধা দিলে সংঘর্ষ লেগে যায়। এতে সাহাবমিয়া ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা শফিকুল কাদেরকে কিরিস, লোহার রড, হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাথায় গুরুত্বর জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করতে গেলে নুরুল ইসলামের পুত্র মনজিরুল ইসলাম, মশরফ আলীর পুত্র মোহাম্মদ ইব্রাহিম, তার ভাই লিয়াকত আলী, জাকের হোসেনের পুত্র হুমায়ন আজাদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। এমনকি ইব্রাহিমের এক পা ভেঙে দেয় সন্ত্রাসীরা। সে আরো জানান এ জায়গা নিয়ে সেনাবাহিনী ক্যাম্পে বিচার চলমান রয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
প্রত্যক্ষদূর্শীরা জানান, সকাল থেকে ওই জায়গা দখল করতে সাহাব উদ্দিন প্রকাশ সাহাবমিয়া তার নেতৃত্বে একদল বহিরাগত সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা, কিরিস, দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। ফলে এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
পরে ঘটনার খবর পেয়ে পেকুয়া থানার এ এস আই আপ্যায়ন ও নিয়জুন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে এ এস আই আপ্যায়ন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং বিরোধী জমিতে কাজ না করতে উভয়পক্ষকে বারণ করছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সিরাজুল মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।