শনিবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

পুলিশ সদস্য হত্যা মামলার প্রধান আসামি  ৯ বছর পর গ্রেফতার

 

নগরীর ডবলমুরিং এলাকায়  ছিনতাইয়ের উদ্দেশে পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায়  মামলার সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তার মো. মনির (৩০) কুমিল্লার দেবীদ্বার থানার ফইয়াবাড়ির মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে।

 

দীর্ঘ ৯ বছর পর সোমবার (১৫ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় হালিশহর থানাধীন নয়াবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার। তিনি জানান, ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে অক্সিজেন এলাকায় ডিউটি শেষ করে বাসায় ফিরছিলেন কনস্টেবল ফরিদ উদ্দীন। পথে ছিনতাইকারীরা তাকে পথরোধ করে মালামাল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে ছিনতাইকারীর তাকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এসআই আমিনুল হক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সেসময় ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে অটোরিকশা চালক মনির ছিলেন হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সহেযাগী। ছিনতাইকারীদের অটোরিকশা করে পালিয়ে যেতে মনির সাহায্য করেছিলেন। ওই সময় গ্রেপ্তারদের মধ্যে মো. নাছির ও মো. রাজিব মামলার তদন্তকালে মারা যান। বাকি চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশ ২০১৫ সালের ১৭ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

 

তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ৭ মে আদালত চার আসামি মো. বাবুদ দুলাল, অর্জুন দে এবং মো. মনিরের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পলাতক আসামি জসিম উদ্দিন রাজু, মো. মাবুদ দুলাল ও অর্জুন দেসহ তিনজনকে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া অটোরিক্সা চালক মনিরকে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে আরও একবছর কারাদণ্ড দেয়।

 

সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেল সাড়ে ৫টায় হালিশর থানাধীন নয়াবাজার এলাকা থেকে আসামি মো. মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। মনির দীর্ঘ ৯ বছর পালিয়ে ছিলেন। গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn