সোমবার - ২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৪শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

পিলখানার হত্যাকাণ্ডে আপন মামাতো ভাইসহ শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের বিবৃতি

পিলখানার হত্যাকাণ্ডে আপন মামাতো ভাইসহ শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের বিবৃতি

 

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ঘৃণ্য ও কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি হয়। এদিন তৎকালীন বিডিআর বাহিনীর বিপথগামী অস্ত্রধারী সদস্যরা দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে ষড়যন্ত্রকারীদের
ক্রীড়নক হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে। নির্দয় সীমারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে হত্যাকারীরা সেনাবাহিনীর চৌকস ও দক্ষ ৫৭ অফিসারসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের তরতাজা প্রাণ নিমিষেই কেড়ে নেয়। এই ঘটনায় আমার আপন মামাতো ভাই সেনাবাহিনীর গর্বিত অফিসার মেজর কাজী আশরাফ হোসাইনও শহিদ হয়। ঐদিন নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমার মামাতো ভাইসহ শহিদ সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের সকলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

নির্মম এই হত্যাকাণ্ড সংঘটনকারীরা নিঃসন্দেহে ঘৃণ্য ঘাতক ও মানবতার শত্রু। তাদের বিচার চাওয়া ও করাটা মানবিক দর্শনে বিশ্বাসী যে কোনো মানুষের কাছে অগ্রাধিকার। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেই দর্শনে অবিচলভাবে বিশ্বাসী হয়ে এই হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনেন এবং তাদের মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। অথচ খুনি ফ্যাসিস্ট ইউনূসের নেতৃত্বে এই অগণতান্ত্রিক গোষ্ঠী অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের পর এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হত্যাকারীদের কারাগার থেকে মুক্ত করে দেয়। আজ স্বজনহারাদের একজন হয়ে নিজেকে খুব অসহায় বোধ করছি। বেদনাহত হৃদয় নিয়ে শুধু জানতে ইচ্ছা করে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তারা কীভাবে ছাড়া পায়? আমরা নিহতদের পরিবার সদস্যরা কী ন্যায়বিচার পাব না? এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর আমার কাছে নেই। শুধু প্রত্যাশা করি, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীকে কোনো না কোনোদিন পুনরায় বিচারের আওতায় আনা হবে এবং তাদের সাজা নিশ্চিত করা হবে।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn