সোমবার - ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

পশ্চিমবঙ্গ আই এন টি ইউ সি সেবা দল , সরস্বতীর বীনা নিয়ে প্রতিবাদের ঝড়

পশ্চিমবঙ্গ আই এন টি ইউ সি সেবা দল , সরস্বতীর বীনা নিয়ে প্রতিবাদের ঝড়

 

আজ ৫ই এপ্রিল শনিবার, ঠিক দুপুর সাড়ে বারোটায়, কলেজ স্কোয়ার বিদ্যাসাগর মূর্তির সামনে থেকে ২৬০০০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি চলে যাওয়ার প্রতিবাদে এবং অপদার্থ সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে, মিছিল করে কলেজ স্ট্রীট চার রাস্তার মোড়ে রাজা রামমোহনের মূর্তির সামনে গিয়ে মিছিল শেষ করেন, এবং রাজা রামমোহন রায়ের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন।

এই মিছিলের নেতৃত্বে দেন পশ্চিমবঙ্গ আই এন টি ইউ সি সভাপতি প্রমোদ পান্ডে, উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের আশুতোষ চ্যাটার্জী সহ অন্যান্যরা।

মিছিলের প্রথম ভাগে ছিল একটি সরস্বতীর বীনা এবং প্রত্যেকের হাতে ছিল একটি করে প্লাকার, প্লাকারে একটি সুন্দর ক্যাপশন তুলে ধরেছেন….

২৬ হাজার পরিবার বরবাদ….. যোগ্য অযোগ্য সবাই বাদ….. এরই নাম সাম্যবাদ।

মধ্য দিয়ে বুঝাতে চেয়েছেন, যে বিনা ভেঙে গেছে তাকে কেন বাজাতে বলো, পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর বীণা ভেঙে দিয়েছে। দুর্নীতির অধিষ্ঠাত্রী দেবী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যার রাজত্বে এত দুর্নীতি হয়েছে যেখানে দেবীর আর কোন তারের দরকার হবে না, সারা রাজ্যে শুধু দুর্নীতির বীনা বাজিয়ে গেছেন, আজ দুর্নীতির কারণে 26000 যোগ্য অযোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা চাকরিহারা, তার পরিবার পথে বসেছেন, শিক্ষক শিক্ষিকারা দুশ্চিন্তায়, শিক্ষার নামে টাকা দিয়ে বিক্রি হয়ে গেছে চাকরি, এত আন্দোলন ও প্রতিবাদের পরও যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা খুঁজে বার করতে পারল না, অপদার্থ সিবিআই, আয় যে সকল যোগ্যদের ও চাকরি আছে তাদের দায় নেবে কে,

তাই আমাদের দাবী সমস্ত দায় নিতে হবে রাজ্য সরকারকে, এর সাথে সাথে কেন্দ্র সরকারকেও একহাত নিলেন।, সিবিআই নামে নাটক করে গেছেন, তাই আজ যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ও চাকরি গেল, অবিলম্বে চাকরি আনতে হবে তাদেরই স্কুলে আবার পুনরায় বহাল করতে হবে।

নচেৎ আমরা ছেড়ে কথা বলবো না, আরতি তীব্র আন্দোলনের পথ নেব, এই সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য যতদূর সম্ভব যাওয়া আমরা ঠিক পৌঁছে যাবো,

আজ শিক্ষার হালকে মাটিতে ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে, যোগ্য প্রার্থীরা দিনের পর দিন রাস্তায় বসে, মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবারও তাদের দিকে তাকিয়ে দেখেননি, অথচ টাকার বিনিময় সেই সকল চাকরি রাজনীতির নেতাদের হাত ধরে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। তাই আজ দুর্নীতির হাত থেকে বাঁচতে 26000 শিক্ষক শিক্ষিকাকে পথে বসালো।

কেন অযোগ্যদের বাদ দিয়ে বাকিদের চাকরিতে রাখা হলো না, যোগ্য অযোগ্য সবাইকেই ছাটাই করা হলো এর জবাব মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দিতে হবে। আমরা এই সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশে আছি, এবং তাদের জন্য লড়াই করে যাবো। সারা পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবাদের ঝড় উঠবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn