
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে লরির পিছনে ধাক্কা অ্যাম্বুল্যান্সের ! মৃত ৩
শনিবার(২১ জুন) সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের জামালপুরের মুসন্ডা এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, কলকাতার হাসপাতালে রোগী ভর্তি করে অ্যাম্বুল্যান্স করে দুর্গাপুরে ফিরছিলেন ২ জন। চালকসহ ৩ জনই মারা গিয়েছেন বলে খবর। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে দুর্গাপুর ফেরার সময় আজাপুরের মুসন্ডা এলাকায় সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, রাস্তার ধারে একটি লরি দাঁড়িয়ে ছিল। অ্যাম্বুল্যান্সটি গিয়ে ওই লরিটির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অ্যাম্বুল্যান্সটি প্রচন্ড গতিতে যাচ্ছিল। এদিকে বৃষ্টির কারণে রাস্তাও ভেজা ছিল। ফলে চালক আর গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। লরিটির পিছনে গিয়ে সেটি ধাক্কা মারে। গতিবেগ এতটাই ছিল যে, অ্যাম্বুল্যান্সটির সামনের দিকে দুমড়ে মুচড়ে যায়। প্রচন্ড আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর থেকে ওই ৩ জনকে উদ্ধার করে। ১ জনকে দুর্গাপুর ও ২ জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কর্তব্যরত ডাক্তাররা ৩ জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। অ্যাম্বুল্যান্স চালক বিধান রুই দাস(৩৫) বীরভূমের জয়দেব এলাকার বাসিন্দা। গৌতম দাসের (৫৫) বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। বিশ্বজিৎ চৌধুরী (৫২) দুর্গাপুরের বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে অনুমান, হত ২ জন রোগীর বাড়ির আত্মীয়। খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে দুর্ঘটনার পরেই লরির চালক লরি নিয়ে এলাকা ছাড়ে বলে জানা যায়। সেই গাড়িটির খোঁজ করা হচ্ছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।