সোমবার - ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

পরকীয়ায় সন্দেহে স্ত্রীকে খুন করে থানায় ফোন স্বামীর !

পরকীয়ায় সন্দেহে স্ত্রীকে খুন করে থানায় ফোন স্বামীর !

নিজের স্ত্রীকে অন‍্যের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে দেখেছিল বলে অভিযোগ। স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে আছেন, সেই সন্দেহে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করল স্বামী। শুধু তাই নয়, নিজে ও আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই ব‍্যক্তি। তবে তার আগে নিজেই ফোন করে থানায় খুনের কথা জানিয়েছিল ওই গৃহস্বামী। রবিবার (৬ এপ্রিল ) সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার কোলাগ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম অর্পিতা বিশ্বাস (২৮)। ওই গৃহস্বামীকে পাকড়াও করে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ প্রসেনজিৎ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, ৭ বছর আগে অর্পিতার সঙ্গে বাগদার কোলাগ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিতের বিয়ে হয়েছিল। তাদের ৫ বছরের একটি কন‍্যা সন্তান রয়েছে। অর্পিতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ‍্যমে ভিডিও বানাতেন। সেই সূত্রে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় বলেও খবর। রাতে প্রায়ই অর্পিতার মোবাইলে ফোন আসত বলে অভিযোগ। স্বামী প্রসেনজিৎ সে সব পছন্দ করতেন না। এর থেকে অর্পিতার প্রতি সন্দেহ ও বাড়তে থাকে। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। তারই মধ‍্যে অর্পিতা মাঝে মধ‍্যে বাড়ি থেকে একা বেরিয়ে যেতেন। ফিরতেন রাত করে। এমন অভিযোগ ও উঠেছে। প্রসেনজিতের সন্দেহ, স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের মধ‍্যে অশান্তি চরমে পৌঁছায়। রবিবার (৬  এপ্রিল ) সকালে অর্পিতা রান্না ঘরে কাজ করছিলেন। সে সময় স্ত্রীকে ভিডিও কলে কারও সঙ্গে কথা বলতে দেখে প্রসেনজিৎ। সন্দেহে কুড়ুল নিয়ে এসে স্ত্রীকে কোপাতে থাকে সে। ঘটনাস্থলে মারা যান অর্পিতা। এরপর থানায় নিজেই ফোন করে স্ত্রীকে খুনের কথা জানায়। এরপর প্রসেনজিৎ গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। খুনের কথা জানাজানি হতেই এলাকার বাসিন্দা সেখানে পৌঁছে যায়। তাঁরাই প্রসেনজিৎকে আটক রাখেন। বাগদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রসেনজিতের বৃদ্ধা মা গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত। সন্দেহের বশে যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে, ভাবতে পারছেন না প্রতিবেশীরাও।
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn