
পটিয়ার নাইখাইন মঙ্গলাচরণ চৈত্য প্রাঙ্গনে দুইদিন ব্যাপি ধর্মীয় সভা ও গুনীজন সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গ্রাম নাইখাইনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দিনব্যাপি বৌদ্ধদের মহামিলন মেলা। নাইখাইন গ্রামবাসীর উদ্যোগে ও তরুন-যুবদের পরিকল্পনায় নাইখাইন মঙ্গলাচরণ চৈত্য প্রাঙ্গনে ৩১ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় ভৈষজ্য সংঘদান ও শিক্ষাবিদ ভদন্ত শ্রীমৎ সোমানন্দ মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে ও ভদন্ত শ্রীমৎ জিনপ্রিয় মহাস্থবিরের সঞ্চালনায় একক ধর্মদেশনা প্রদান করেন ভদন্ত শ্রীমৎ মেত্তাবংশ মহাথেরো। ১ এপ্রিল মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিন অনুষ্ঠিত হয় অষ্টপরিস্কারসহ সংঘদান, জ্ঞাতি ভোজন, আলোচনা সভা ও নাইখাইন জন্মজাত পটিয়ার কৃতি সন্তান, ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলার, সমাজ হিতৈষী কির্তনীয়া শাক্য পদ বড়ুয়া’কে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাইখাইন সুহৃদ সমিতির প্রাক্তন সভাপতি সর্বজন শ্রদ্ধেয় বিমল বড়ুয়া ও অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী উজ্জ্বল বড়ুয়া। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়ক সীমাজু বড়ুয়া এবং প্রধান বক্তা ছিলেন শিক্ষক তাপস বড়ুয়া। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজ ব্যাক্তিত্ব ডাঃ কনক বড়ুয়া, কীর্তনীয়া সুবীর বড়ুয়া, কীর্তনীয়া সুকুমার বড়ুয়া, কীর্তনীয়া রূপায়ণ বড়ুয়া, কীর্তনীয়া অসীম বড়ুয়া, ইঞ্জিনিয়ার জুয়েল বড়ুয়া, বাঁকখালী নিবাসী আশীষ বড়ুয়া দেবু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কীর্তনীয়া অভি বড়ুয়া, লাভু বড়ুয়া, নিশান বড়ুয়া, শিবু বড়ুয়া এবং করল ,বাকাখালী,পাঁচুরিয়া, তেকোটাসহ বিভিন্ন এলাকার ভক্তবৃন্দ। উল্লেখ্য পটিয়ার নাইখাইন গ্রামের জন্মজাত শাক্য পদ বড়ুয়া দীর্ঘদিন যাবৎ সমাজের কল্যানে বিভিন্ন অবদান রেখে চলেছেন। তিনি ১৯৭২ সনে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় তৎকালীন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে (বৃহত্তর কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগ নিয়ে গঠিত) মানবিক বিভাগের মেধাতালিকায় সপ্তম স্থান অধিকার করেন। সেই সাথে তিনি কুমিল্লা জেলা ক্রিড়া সংস্থার প্রাক্তন ফুটবল ও ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। শাক্যপদ বড়ুয়া ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও চট্টগ্রাম কাস্টমস্ হাউসের প্রাক্তন ফুটবলার এবং কাস্টমস্ মিনিস্ট্রিয়াল স্টাফ এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারন সম্পাদক। তিনি তাঁর সুকন্ঠে বুদ্ধকীর্তন পরিবেশনের মাধ্যমে বৌদ্ধদের মাঝে অভাবনীয় জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। বাংলাদেশ বুদ্ধকীর্তনীয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসাবে বুদ্ধকীর্তন শিল্পের প্রচার ও বিকাশে অবদান রেখে চলেছেন কীর্তনীয়া শাক্য পদ বড়ুয়া। এ গুনীজনের লিখিত বুদ্ধকীর্তন তাঁরই কন্যা কণ্ঠশিল্পী নিশীতা বড়ুয়াসহ বিভিন্ন শিল্পীরা টিভি, বেতার, মঞ্চসহ নানাবিধ মাধ্যমে পরিবেশন করে সুনাম কুড়িয়েছেন।