শনিবার - ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

পটিয়ায় গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু

পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়ন শেখ মোহাম্মদ পাড়ায় জেরিন আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার স্বামী দিদার আলম (৩৫) ঈদের কয়েকদিন আগে প্রবাস থেকে দেশে আসেন। নিহতের শ্বশুর বাড়ির লোক এটাকে আত্মহত্যা বললেও বাপের বাড়ির লোকদের দাবি তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে।

৩০ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৫টার সময় তার মৃত্যু হয় বলে জানতে পারেন বলে জানান স্থানীয় ১নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর।
এদিকে জেরিন আক্তারের মৃত্যুর খবর সন্ধ্যা ৬টার সময় শ্বাশুড়িকে মোবাইলের মাধ্যমে কল দিয়ে জানিয়ে বলে , তার মেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেছে।
জেরিনের বাবার বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসলে দেখতে পান তার মেয়ের গলায় রশির দাগ।
তখন জেরিনের শাশুড়ি সহ বাকি শশুরবাড়ির লোকজন জানান, তাদের মেয়ে দড়িতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
দ্রুত লাশ দাফনের তোড়জোড় করে বলে জানান জেরিনের মামা মোঃ রিদুয়ান। এছাড়া জেরিনের স্বামীকে কোথাও না পাওয়ায় তাদের আচরণে সন্দেহ হলে বিষয়টা পুলিশকে জানান জেরিনের বাপের বাড়ির লোকজন।
জেরিনের মামা রিদুয়ান জানান, জেরিনকে যে রুমে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধারের কথা জানিয়েছে সে রুমটির কোন দরজা নেই এবং সেটি একদম সামনের রুম। এক ঘর ভর্তি লোক থাকতে খোলা একটি রুমে কারো পক্ষে আত্মহত্যা সম্ভব না। তিনি দাবি করেন জেরিনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে।
২০২০ সালের ৩০ মার্চ করোনা মহামারির সময় কচুয়াই শেখ মোহাম্মদ পাড়ার মোঃ সালামত আলী খানের কনিষ্ঠ সন্তান আবুধাবি প্রবাসী মোঃ দিদার আলম (৩৫) এর সাথে বিয়ে হয় জেরিনের। তাদের ঘরে দেড় বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি ঈদ উপলক্ষে দেশে আসলে বিয়ের সময় দাওয়াত খাওয়ানোর বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হয় বলে জানান নিহত জেরিনের পরিবার। দুই পরিবারের সম্মতিতে আগামী ১৪ মে দাওয়াত খাওয়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পৌছেন দুই পরিবার। গত দুই দিন আগে জেরিনের বাপের বাড়ি থেকে তার শ্বশুড় বাড়িতে খাবারও পাঠানো হয় বলে জানান।
পটিয়া থানার ওসি প্রিটন সরকার জানান, কচুয়াই গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। আমরা সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জসিম। তিনি জানান, ময়নাতদন্ত হলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা বিষয়টা জানা যাবে। যেহেতু আগে থেকে তেমন কোন সিরিয়াস ঘটনা নেই তাই এখন কোন মন্তব্য করতে চাইনা। তবে দুই পারিবারের অনেকেই বলেন, তাদের মধ্যে কোন বিবাদ বা বড় কোন সমস্যা ছিলো না।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn