শনিবার - ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২২শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালীর ৭নং ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম্য আদালত বিষয়ক কর্মশালা

নোয়াখালীর ৭নং ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম্য আদালত বিষয়ক কর্মশালা

 

নোয়াখালী সদর উপজেলার ৭নং ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে মাল্টি প্রজেক্টরের মাধ্যমে গ্রামের জনগোষ্ঠীকে সচেতনতা বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নোয়াখালী সদর উপজেলা সমন্বয়কারী জোছনা বেগমের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন,৭নং ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ মহিউদ্দিন,ইউপি সচিব সঞ্জিত রনজন কর্মকার, ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ ইব্রাহীম,২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল কাদের,৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবদুল মতিন ৪,৫,৬নং ওয়ার্ডের ব্লক মেম্বার তাহমিনা বেগম সহ স্থানীয় লোকজন।

কর্মসূচী চলাকালীন সময়
সদর উপজেলা গ্রাম আদালতের সমন্বয়কারী জোছনা বেগম বলেন,
বিচার ব্যবস্থায় দেশের দরিদ্র মানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত ও সহজ করতেই গঠন করা হয়েছে গ্রাম আদালত। গ্রামের দরিদ্র মানুষ যাতে সহজে ও নামমাত্র খরচে তাদের এই অধিকার রক্ষা বা প্রতিষ্ঠা করতে পারে,সেজন্যেই গ্রাম আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ আদালতে গ্রামের ছোটখাটো বিরোধ বড় আকার ধারণ করার আগেই সহজে নিষ্পত্তি করা সম্ভব । গ্রামীন জনপদে ন্যায়বিচারের ভিত শক্তিশালী করতে ২০০৬ সালে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে গ্রাম আদালত প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশ সরকার । ইউনিয়ন পর্যায়ের এই আদালত জজ আদালতে মামলার চাপ কমিয়ে গোটা বিচার ব্যবস্থায় গতিশীলতা এনেছে।তবে সাধারণ মানুষ ও তাদেরই নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা গ্রাম আদালত পরিচালিত হওয়ায় বা জনপ্রতিনিধিদের আচরণগত ত্রুটির কারণে এই আদালত অনেক সময় ভাবমূর্তি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়।কিন্তু আইনগত দিক থেকে গ্রাম আদালত একটি পূর্ণাঙ্গ আদালত।

১৯৭৬ সালের গ্রাম আদালত আইন অনুযায়ী,সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে এটি ফৌজদারি ও দেওয়ানি দু’ধারাতেই বিচার করার কর্তৃত্ব রাখে।এক্ষেত্রে জরিমানা বা ক্ষতিপূরণের মূল্যমান ৫ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছিল।২০০৬ সালের মে মাসে ১৯ নং আইনের অধীনে ১৯৭৬ সালের গ্রাম আদালত অধ্যাদেশের সংশোধন হয়ে যে আইনটি প্রণীত হয়,সেটি কম-বেশি আগের আইনটির মতোই।তবে এখানে প্রধান পরিবর্তনটি এসেছে মামলার ক্ষতিপুরনের আর্থিক সীমায়, যা ৫ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়। ১৯৭৬ এবং ২০০৬ উভয় আইনেই এর গঠন, পরিচালনা,মামলা যাচাই-বাছাই,ডিক্রি জারি এবং কার্যবিবরণীর নথি সংরক্ষণের কাজগুলোকে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

৭নং ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের কর্মশালায় এসে চেয়ারম্যান হাফেজ মহিউদ্দিন বলেন,আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের বিচার ব্যবস্থাপনা খুবই ভালো।এ ইউনিয়নের মানুষ গ্াম আদালত বিষয়ে কিছুই জানতো না।আমরা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে গ্রাম আদালতের বিচার ব্যবস্থাপনাকে অনেক এগিয়ে নিতে পেরেছি বিদায় আমাদের ইউনিয়নের মানুষ এখন গ্রাম আদালত বিষয়ে অনেক কিছু জানে এবং শিখতে পেরেছে। তারা এখন গ্রামে কোন ছোটখাটো সমস্যা হলে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সমাধান করে পেলে।তারা আর উচ্চ আদালতে যেতে হয় না।আমরা সকল ইউপি সদস্যগণের উপস্থিতিতে গ্রাম্য আদালত পরিচালনা করে থাকি।

পরে সকলকে স্বাগত জানিয়ে উক্ত কর্মশালা সমাপ্তি করেন, চেয়ারম্যান হাফেজ মোঃ মহিউদ্দিন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn