
সিআরবি শিরিষ তলায় হিজরি বর্ষবরণ উৎসবে সংস্কৃতিপ্রেমীদের উপচে পড়া ভীড়
হিজরী নববর্ষ উদযাপন মঞ্চ আয়োজিত হিজরী বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে- অধ্যক্ষ আল্লামা জুবাইর
নৈতিক চরিত্র বিধ্বংসী সংস্কৃতির চর্চা দেশ
ও জাতির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে
খ্যাতিমান ইসলামিক স্কলার, শায়খুল হাদিস অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেছেন- বর্তমানে অপসংস্কৃতি আমাদের সামাজিক জীবনকে গিলে খেয়েছে। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অবাঞ্ছিত আগ্রাসনের শিকার জাতির ভবিষ্যৎ কিশোর-যুবরা। যা ভবিষ্যত একটি আদর্শিক প্রজন্ম গঠনের অন্তরায় বলে মন্তব্য করেন। বেহায়াপনা, বেলেল্লাপনা, নারী- পুরুষের অবাধ মেলামেশা, আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি, হিপ্পিগিরিসহ ইত্যাকার বিষয়াদিকে তারুণ্যের অহংকার হিসেবে প্রদর্শিত হচ্ছে। ফলে দৌড়ে পালিয়েছে সুস্থ সংস্কৃতি।
উল্লেখ্য যে, সিআরবি শিরিষতলায় হিজরী নববর্ষ উদযাপন মঞ্চ এর উদ্যোগে হিজরি বর্ষবরণ উৎসব অনুষ্ঠানটি সংকৃতিপ্রেমীদের উপস্থিতিতে ভিন্ন এক মাত্রা পায়। উৎসবের আমেজ এমনিতর ছিল যে, উৎসুক নারী পুরুষের ভীড়ে গোটা এলাকা জুড়ে ব্যতিক্রমী এক দৃশ্যের অবতারনা করে। বিকেল ৩ টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিকেল ২টায় লোকজন এসে আশপাশস্থ এলাকা টইটম্বুর হয়ে যায়। সত্যিকার অর্থে এটি একটি ইসলামী সংস্কৃতির অনন্য সংযোজন বলে মন্তব্য করতে শুনা যায় আগন্তুক অনেকেরই।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- এদেশে বাংলা ও ইংরেজি নববর্ষ অত্যন্ত ঘটা করে পালিত হয়। অথচ বাংলাদেশ বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র হওয়া সত্তে¡ও নিরবে- নিবৃত্তে চলে যায় মহিমান্বিত হিজরি নববর্ষ দিবসটি। নৈতিক চরিত্র বিধ্বংসী সংস্কৃতির চর্চা দেশ ও জাতির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন- ইসলামের শ্বাশত আদর্শের চর্চা ও অনুশীলনই একমাত্র তরুন-যুবসমাজকে এহেন অশুভ পরিণতি থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। আর এক্ষেত্রে হিজরী বর্ষবরণ উৎসব একটি কার্যকর মহৌষধ হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
হিজরী নববর্ষ উদযাপন মঞ্চ এর উদ্যোগে ১৯ জুলাই’২৩ খ্রি. বুধবার বিকেল ৩ টায় সি আর বি শিরিষতলায় অনুষ্ঠিত হিজরি বর্ষবরণ উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যদানকালে এসব কথা বলেন।
হিজরী নববর্ষ উদযাপন মঞ্চের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আল্লামা ছৈয়দ মুহাম্মদ আবু ছালেহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উৎসবে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ট সমাজসেবক, আঞ্জুমানে খোদ্দামুল মুসলেমিন বাংলদেশ ট্রাষ্টিবোর্ডের সচিব স ম হামেদ হোসাইন ।
উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – কাজী সমিতির চট্টাম বিভাগীয় সভাপতি আলহাজ্ব কাজী ইউসুফ আলী চৌধুরী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এপেক্স ক্লাব অব বাংলাদেশ’র সাবেক গভর্ণর এড. মীর মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম সেলিম, সূফিতত্ত¡ গবেষণা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক হাকিম মওলানা মুহম্মদ ইকবাল ইউসূফ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ উপাধ্যক্ষ নাছির উদ্দীন আনোয়ারি, আল্লামা মুহাম্মদ মুসা, আল মাবরুর হজ্ব কাফেলার ডাইরেক্টর এ এম মঈন উদ্দীন চৌধুরী হালিম, খন্দকার আক্কাস, মাওলানা জয়নাল আবেদীন জিহাদী, মাষ্টার নুরুল আজিম, অধ্যাপক শহিদুল্লাহ সাদা, মাওলানা কাজী মফিজুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান, লায়ন মোহাম্মদ ইমরান, খ.ম মোজাম্মেল, আবদুল মালেক আশরাফী, কফিল উদ্দীন রানা, শাহাদত হোসেন রুবেল, হাফেজ আবদুল মান্নান, কাজী আহসানুল আলম, আবু ছাদেক ছিটু, আনিসুর রহমান, মুহাম্মদ আইয়ুব, , আহমদ রেজা, খ ম জামাল উদ্দীন, গিয়াস উদ্দীন জাহেদ, হাফেজ নাছির, কাজী লোকমান, এনামুল হক, মেজবাহ উদ্দীন, কাজী আলাউদ্দীন, মোরশেদ রেজা, শহিদুল ইসলাম, তাওহিদ রিয়াদ প্রমূখ।
আত তাহজীব সাংস্কৃতিক ফোরামের সার্বি সহযোগিতায় এতে কেরাত, হামদ, নাত, কাওয়ালি ও দেশাত্ববোধক সংঙ্গীত পরিবেশন করেন আলো ইসলামি সাংস্কৃতিক ফোরাম ও আল মদিনা সাংস্কৃতিক ফোরামের শিল্পিরা।