মঙ্গলবার - ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১২ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

নৃত্যাচার্য বুলবুল চৌধুরীকে বাঁচিয়ে রাখা বাঙালি সংস্কৃতির জন্য অপরিহার্য অংশ

বুলবুল নৃত্যউৎসবের সমাপনীতে এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম
নৃত্যাচার্য বুলবুল চৌধুরীকে বাঁচিয়ে রাখা
বাঙালি সংস্কৃতির জন্য অপরিহার্য অংশ

চট্টগ্রাম মহানগর সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে দু’দিনব্যাপী নৃত্যাচার্য বুলবুল চৌধুরী স্মারক সম্মাননা ও বুলবুল নৃত্যউৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান গতকাল ২৪ মে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, বুলবুল চৌধুরীর আগে বাঙালি মুসলমান সমাজে নৃত্যচর্চা ছিল না বললেই চলে। এ শিল্পকে বাঙালি সমাজে বুলবুল চৌধুরীই প্রথম জাতে তুলেন। বুলবুল চৌধুরী বাঙালি সংস্কৃতির এক অনন্য প্রতিভাময়ী শিল্পী। তিনি ছিলেন নিরন্তর সৃষ্টিশীলতায় মুখর এক ক্ষণজন্মা এবং বাঙালি নৃত্যশিল্পচর্চার নবধারার প্রবর্তক।
প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে সাহাব উদ্দিন মজুমদার ও প্রাপন্তি চক্রবর্তীর যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নূর আনোয়ার রনজু, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও জেলা পরিষদ সদস্য দিলোয়ারা ইউসুফ, ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালামত উল্লাহ চৌধুরী (শাহীন)। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও সাংস্কৃতিক সংগঠক নজরুল ইসলাম মোস্তাফিজ। প্রধান বক্তার বক্তব্যে শাব্বির ইকবাল বলেন, আমরা বাঙালি জাতি একটি বিস্মৃতিশীল জাতি। সহজেই সবকিছু ভুলে যাই। তাই আমাদের মাটির মানুষ, চট্টলকৃতি সন্তান নৃত্যাচার্য বুলবুল চৌধুরীকেও ভুলে গেছি। এটা আমাদের পাপবিদ্ধ করে। এ পাপমোচনের জন্য নৃত্যশিল্পচর্চাকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে নৃত্যাচার্য বুলবুল চৌধুরীর কীর্তিকে আগামী প্রজন্মের কাছে জাগিয়ে তুলতে হবে।
সভায় বক্তারা বলেন, বুলবুল চৌধুরী বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম এক গর্বিত সদস্য। নৃত্যশিল্পে উদয়শঙ্করের পর বুলবুল চৌধুরীই সবচেয়ে পরিচিত-জন। নৃত্যাচার্য বুলবুল চৌধুরীকে বাঁচিয়ে রাখা বাঙালি সংস্কৃতির জন্য এক অপরিহার্য অংশ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দীপংকর দেবনাথ, মো. জমির উদ্দিন, দিলীপ সেনগুপ্ত, রিপন বড়–য়া, রোজি চৌধুরী, মোহাম্মদ সায়েম, স ম জিয়াউর রহমান, ইমরান সোহেল, মোহাম্মদ হোসেন মধু, সাফিয়া জাহান রক্সি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ অতিথিবৃন্দ চট্টগ্রামের নৃত্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুঙুর নৃত্যকলা কেন্দ্র, স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ডান্স, সঞ্চারী নৃত্যকলা একাডেমি, সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ ডান্স একাডেমি, নৃত্যম একাডেমি, বেণুকা ললিতকলা একাডেমি, রুমঝুম নৃত্যকলা একাডেমি, কৃত্তিকা নৃত্যালয়কে নৃত্যাচার্য বুলবুল চৌধুরী স্মারক সম্মাননা প্রদান করেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn